পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
৩৭

করিয়া, অস্থির লোচনে আকুল বচনে কহিতে লাগিল, মহাশয়। আপনি সবিশেষ না জানিয়া কোথায় আসিয়াছেন। এ বড় সহজ স্থান নহে। এখানকার সকলই মায়া, সকলই ইন্দ্রজাল। আমরা সহজে নিষ্কৃতি পাইব, বোধ হয় না। যে রঙ্গ দেখিতেছি, প্রাণ বাচাইয়া দেশে যাইব, আমার আর সে আশা নাই। এই মানবরূপিণী ঠাকুরাণীরা যেরূপ মায়াবিনী, তাহাতে ইহাদের হস্ত হইতে সহজে নিস্তার পাইব, মনে করিবেন না। কি অশুভ ক্ষণেই এ দেশে পদাপর্ণ করিয়াছিলেন। যেরূপ দেখিতেছি, ইঁহাদের মতের অনুবর্ত্তী হইয়া না চলিলে, নিঃসংশয় প্রাণসংশয় ঘটিবেক। অতএব যাহা কর্ত্তব্য হয়, বিবেচনা করুন। কিঙ্করের এই সকল কথা শুনিয়া, অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া, বিলাসিনী কহিলেন, অহে কিঙ্কর! তোমায় পরিহাসের অনেক কৌশল আইসে, তা আমরা বহু দিন অবধি জানি; আর তোমার সে বিষয়ে নৈপুণ্য দেখাইতে হইবেক না; আমরা বড় আপ্যাষিত হইয়াছি। এক্ষণে ক্ষান্ত হও; যা বলি, তা শুন। শুনিয়া সাতিশয় শঙ্কিত হইয়া, কিঙ্কর চিরঞ্জীবকে কহিল, মহাশয়। আমার বুদ্ধিলোপ হইরাছে, এখন কি করিবেন, করুন। চিরঞ্জীব কহিলেন, কেবল তোমার নয়, আমিও দেখিয়া শুনিয়া, তোমার মত, হতবুদ্ধি হইয়াছি। তখন চন্দ্রপ্রভা, চিরঞ্জীবের হস্তে ধরিয়া, আর কেন, গৃহে চল; চাকর মনিবে মন্ত্রণা করিয়া, আজ আমার যথেষ্ট লাঞ্ছনা করিলে। সময় অতীত হইয়া গিয়াছে, আর বিলম্বে কাজ নাই। তিনি তাঁহাকে এই বলিয়া বলপূর্ব্বক