পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
৪৭

সাক্ষাৎ করিবে; দেখিও, যেন কোনও মতে বিলম্ব না হয়। ঐ হার আমি তাঁহাকে দিব; তাহা হইলেই, গৃহিণী বিলক্ষণ শিক্ষা পাইবেন, এবং আর কখনও আমার সঙ্গে এরূপ ব্যবহার করিবেন না। বসুপ্রিয় কহিলেন, যত সত্বর পারি, হার লইয়া সাক্ষাৎ করিতেছি। এই বলিয়া, তিনি দ্রুত পদে প্রস্থান করিলে, চিরঞ্জীব ও রত্নদত্ত অভিপ্রেত স্থানে গমন করিলেন।

 এ দিকে, আহারের সময়, হেমকূটবাসী চিরঞ্জীব প্রায়ই মৌনাবলম্বন করিয়া রহিলেন, চন্দ্রপ্রভা বা বিলাসিনীর কোনও কথার উত্তর দিলেন না; এবং, কোথায় আসিয়াছি, কি করিতেছি, অবশেষেই বা কি বিপদে পড়িব,, এই দুর্ভাবনায় অভিভূত হইয়া, ভাল রূপে আহারও করিতে পারিলেন মা। তাহার এই ভাব দেখিয়া, চন্দ্রপ্রভা স্থির করিলেন, তিনি তাঁহার প্রতি একবারেই নির্ম্মম ও অনুরাগশূন্য হইয়াছেন। তদনুসারে, তিনি শিরে করাঘাত ও রোদন করিতে করিতে, গৃহান্তরে প্রবেশ পূর্বক, ভূতলশায়িনী হইলেন। চিরঞ্জাব ব্যতিরিক্ত আর কেহ সেখানে নাই দেখিয়া, বিলাসিনী তাঁহাকে বুঝাইতে আরম্ভ করিলেন। তিনি কহিলেন, দেখ, ভাই! তুমি তাঁহার স্বামী নও, তিনি তোমার স্ত্রী নন, বারংবার যে এই সকল কথা বলিতেছ, ইহার কারণ কি! তুমি এত বিরক্ত হইতে পার, আমি ত দিদির তেমন কোনও অপরাধ দেখিতেছি না। এই তোমাদের প্রণয়ের সময়, যাহাতে উত্তরোত্তর প্রণয়ের বৃদ্ধি হয়, উভয়েরই প্রাণপণে সেই চেষ্টা করা উচিত। প্রণয়-