পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
ভ্রান্তিবিলাস।

যমালয়ে যাইতে প্রস্তুত আছি, কিন্তু প্রাণান্তেও পাকশালায় প্রবিষ্ট হইতে পারিব না। অধিক কি বলিব, তাহার আকার প্রকার দেখিয়া, আমার শরীরের শোণিত শুষ্ক হইয়া গিয়াছে। আমি পাকশালায় যাইতে যত অসম্মত হইতে লাগিলাম, সে উত্তরোত্তর ততই উৎপীড়ন করিতে লাগিল। অবশেষে, পলাইয়া আপনকার নিকটে আসিয়াছি, যাহাতে আমি তাহার হস্ত হইতে নিস্তার পাই, তাহা করুন।

 এই সমস্ত কথা শুনিয়া চিরঞ্জীব কহিলেন, কিঙ্কর। আমি কি রূপে তোমার নিস্তার করিব, বল;আমার নিস্তার কে করে, তাহার ঠিকানা নাই। এ দেশের সকলই অদ্ভুত কাণ্ড। পাকশালার পরিচারিণী কিরূপে তোমার নাম ও শরীরগত চিহ্ন সকল জানিতে পারিল, কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না। যাহা হউক, সত্বর পলায়ন ব্যতিরেকে নিস্তারের পথ নাই। তুমি এক মুহূর্ত্তও বিলম্ব করিও না, এখনই চলিয়া যাও এবং অনুসন্ধান - করিয়া জান, আজ কোনও জাহাজ এখান হইতে স্থানান্তরে যাইতেছে কি না। তুমি এই সংবাদ লইয়া আপণে যাইবে, আমিও ইতিমধ্যে তথায় উপস্থিত হইতেছি। অথবা বিলম্বের প্রয়োজন কি, এখন এখানে কেহ নাই; এক সঙ্গেই পলায়ন করা ভাল। এই বলিয়া চিরঞ্জীব, কিঙ্কর সমভিব্যাহারে সেই ভবন হইতে বহির্গত হইলেন, এবং তাহাকে অর্ণৰপোতের অনুসন্ধানে প্রেরণ করিয়া, দ্রুত পদে আপণ অভিমুখে প্রস্থান করিলেন।

 বসুপ্রিয় স্বর্ণকার, জয়স্থলবাসী চিরঞ্জীবের আদেশ অনুসারে,