পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
ভ্রান্তিবিলাস।

আসিয়াছি। ঐ জাহাজ অবিলম্বে প্রস্থান করিবেক; অতএব, পান্থনিবাসে চলুন, দ্রব্য সামগ্রী সমুদয় লইয়া, এ পাপিষ্ঠ স্থান হইতে চলিয়া যাই। শুনিয়া চিরঞ্জীব কহিলেন, অরে নির্ব্বোধ! আরে পাগল! মলয়পুরের জাহাজের কথা কি বলিতেছ। সে কহিল, কেন মহাশয়। আপনি কিঞ্চিৎ পূর্ব্বে আমায় জাহাজের অনুসন্ধানে পাঠাইয়াছিলেন। চিরঞ্জীব কহিলেন, আমি তোমায় জাহাজের কথা বলি নাই, দড়ি কিনিতে পাঠাইয়াছিলাম। সে কহিল, না মহাশয়! আপনি দড়ি কিনিবার কথা কখন বলিলেন, জাহাজ দেখিতে পাঠাইয়াছিলেন। তখন চিরঞ্জীব যৎপরোনাস্তি বিরক্ত হইয়া কহিলেন, আরে পাপিষ্ঠ! এখন আমি তোমার সঙ্গে এ বিষয়ের বিচার ও মীমাংসা করিতে পারি না; যখন সচ্ছন্দ চিত্তে থাকিব, তখন করিব, এবং যাহাতে উত্তরকালে আমার কথা মন দিয়া শুন, তাহাও ভাল করিয়া শিখাইয়া দিব। এখন সত্বর তুমি বাটী যাও, এই চাবিটি চন্দ্রপ্রভার হস্তে দিয়া বল, পাঁচ শত টাকার জন্য আমি পথে অবরুদ্ধ হইয়াছি; আমার বাক্সের ভিতরে যে স্বর্ণমুদ্রার থলী আছে, তাহা তোমা দ্বারা অবিলম্বে পাঠাইয়া দেন, তাহা হইলে আমি অবরোধ হইতে মুক্ত হইব। আর দাঁড়াইও না, শীঘ্র চলিয়া যাও। এই বলিয়া, কিঙ্করকে বিদায় করিয়া, তিনি রাজপুরুষকে কহিলেন, অহে রাজপুরুষ! যত ক্ষন টাকা না আসিতেছে, আমায় কারাগারে লইয়া চল। অনস্তর, তাঁহারা তিন জনে কারাগার অভিমুখে প্রস্থান করিলেন। কিঙ্কর মনে