পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
৬৫

উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া আসিয়াছি, তাহাতেই হাঁপাইতেছি। বিলাসিনী কহিলেন, তোমার প্রভু কোথায়, তিনি ভাল আছেন ত। তোমার ভাব দেখিয়া ভয় হইতেছে; কেমন, কোনও অনিষ্টঘটনা হয় নাই ত। সে কহিল, তিনি রাজপুরুষের হস্তে সমর্পিত হইয়াছেন; সে তাহারে অবরুদ্ধ করিয়া কারাগারে লইয়া যাইতেছে। শুনিয়া, যৎপরোনাস্তি ব্যাকুল হইয়া, চন্দ্রপ্রভা কহিলেন, কিঙ্কর। কাহার অভিযোগে তিনি অবরুদ্ধ হইলেন। সে কহিল, আমি তাহার কিছুই জানি না; আমায় এক কর্ম্মে পাঠাইয়াছিলেন; কর্ম্ম শেষ করিয়া তাহার সন্নিহিত হইবামাত্র, তিনি আমার হস্তে এই চাবিটি দিয়া আপনকার নিকটে আসিতে কহিলেন; বলিয়া দিলেন, তাঁহার বাক্সের মধ্যে একটি স্বর্ণমুদ্রার থলী আছে, আপনি চাবি খুলিয়া তাহা বাহির করিয়া আমার হস্তে দেন; ঐ টাকা দিলে, তিনি অবরোধ হইতে নিষ্কৃতি পাইবেন। শুনিবামাত্র, বিলাসিনী, চিরঞ্জীবের বাক্স হইতে স্বর্ণমুদ্রার থলী আনিয়া, কিঙ্করের হস্তে সমর্পণ করিলেন এবং কহিলেন, অবিলম্বে তোমার প্রভুকে বাটীতে লইয়া আসিবে। সে স্বর্ণমুদ্রা লইয়া দ্রুত পদে প্রস্থান করিল; তাঁহারা দুই ভগিনীতে, দুর্ভাবনায় অভিভূত হইয়া, বিষম অসুখে কালযাপন করিতে লাগিলেন।

 হেমকুটের চিরঞ্জীব, কিঙ্করকে জাহাজের অনুসন্ধানে প্রেরণ করিয়া বহু ক্ষণ পর্য্যন্ত, উৎসুক চিত্তে, তাহার প্রত্যাগমন প্রতীক্ষা করিলেন; এবং সমধিক বিলম্ব দর্শনে নিতান্ত ব্যাকুল হইয়া