পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
ভ্রান্তিবিলাস।

সমীপবর্ত্তিনী হইলেন। অপরাজিতা তাঁহাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, দেখ, তোমার স্বামী উন্মাদগ্রস্ত হইয়াছেন কি না। চন্দ্রপ্রভা কহিলেন, উঁহার ব্যবহার ও আকার প্রকার দেখিয়া, আমার আর সন্দেহ বোধ হইতেছে না। এই বলিয়া, তিনি বিদ্যাধরকে কহিলেন, দেখ, তুমি অনেক মন্ত্র, অনেক ঔষধ, এবং চিকিৎসার অনেক কৌশল জান, এক্ষণে সত্বর উহারে প্রকৃতিস্থ কর; তুমি যে পুরস্কার চাহিবে, আমি তাহাই দিয়া তোমায় সন্তুষ্ট করিব। বিলাসিনী সাতিশয় দুঃখিত ও বিষন্ন হইয়। কহিলেন, হায়! কোথা হইতে এমন সর্ব্বনাশিয়া রোগ আসিয়া জুটিল; উঁহার সে আকার নাই, সে মুখশ্রী নাই; কখনও উহার এমন বিকট মূর্ত্তি দেখি নাই, উঁহার দিকে তাকাইতেও ভয় হইতেছে। বিদ্যাধর চিরঞ্জীবকে কহিল, বাবু! তোমার হাতটা দাও, নাড়ীর গতি কিরূপ, দেখিব। চিরঞ্জীব যৎপরোনাস্তি কুপিত হইয়া কহিলেন, এই আমার হাত, তুমি কানটি বাড়াইয়া দাও। তখন বিদ্যাধর স্থির করিল, চিরঞ্জীবের শরীরে ভুতাবেশ বশতঃ প্রকৃতির বৈলক্ষণ্য ঘটিয়াছে। তদনুসারে সে, কতিপয় মন্ত্র পাঠ করিয়া, তাঁহার দেহগত ভুতকে সম্বোধিয়া কহিতে লাগিল, অরে দুরাত্মনৃ পিশাচ। আমি তোরে আদেশ করিতেছি, অবিলম্বে উঁহার কলেবর হইতে নিৰ্গত হইয়। স্বস্থানে প্রস্থান কর। চিরঞ্জীব শুনিয়া নিরতিশয় ক্রোধভরে কহিলেন, অরে নিবোধ! অরে পাপিষ্ঠ! অরে অর্থপিশাচ! চুপ কর, আমি পাগল হই নাই। শুনিয়া, যার পর নাই দুঃখিত