পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম পরিচ্ছেদ।
৯১

আসুন, এই দেবালয়ে প্রবেশ করি; তাহা হইলে, আমাদের উপর কেহ আর অত্যাচার করিতে পারিবেক না। তৎক্ষণাৎ উভয়ে দৌডিয়া পার্শ্ববর্ত্তী দেবালয়ে প্রবিষ্ট হইলেন। চন্দ্রপ্রভা, বিলাসিনী ও তাঁহাদের সমভিব্যাহারের লোক সকল দেবালয়ের দ্বারদেশে উপনীত হইল। এই গোলযোগ উপস্থিত দেখিয়া, রাজপথবাহী লোক সকলও তথায় সমবেত হইতে লাগিল।

 ঐ দেবালয়ের কার্য্য পর্য্য়বেক্ষণের সমস্ত ভার এক বর্ষীয়সী তপস্বিনীর হস্তে ন্যস্ত ছিল। ইনি যার পর নাই সুশীলা ও নিরতিশয় দয়াশীলা ছিলেন এবং সুচারুরূপে দেবালয়ের কার্য্য সম্পাদন করিতেন; এজন্য, জয়স্থলবাসী যাবতীয় লোকের বিলক্ষণ ভক্তিভাজন ও সাতিশয় শ্রদ্ধাস্পদ ছিলেন। অভ্যন্তর হইতে অকস্মাৎ বিষম গোলযোগ শ্রবণ করিয়া, কারণ জানিবার নিমিত্ত, তিনি দেবালয় হইতে বহির্গত হইলেন এবং সমবেত লোকদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, কি জন্য তোমরা এখানে গোলযোগ করিতেছ। চন্দ্রপ্রভা কহিলেন, আমার উন্মাদগ্রস্ত স্বামী পলাইয়া দেবালয়ে প্রবেশ করিয়াছেন, আপনি অনুগ্রহ করিয়া আমাকে ও আমার লোকদিগকে ভিতরে যাইতে দেন, আমরা তাঁহারে বন্ধন করিয়া বাটী লইয়া যাইব। তপস্বিনী জিজ্ঞাসা করিলেন, কত দিন তিনি এই দুর্দ্দান্ত রোগে আক্রান্ত হইয়াছেন। চন্দ্রপ্রভা কহিলেন, পাঁচ সাত দিন হইতে তাঁহাকে সর্ব্বদাই বিরক্ত, অন্যমনস্ক ও দুর্ভাবনায় অভিভূত দেখিতাম, কিন্তু, আজ আড়াই প্রহরের সময় অবধি, এক বারে বাহ্য়জ্ঞান-