পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৪
ভ্রান্তিবিলাস।

কাহারও তথায় প্রবেশ করিবার পথ রহিল না। চন্দ্রপ্রভার এইরূপ অবমাননা দর্শনে, বিলাসিনী অতিশয় রুষ্ট ও অসন্তুষ্ট হইলেন, এবং তাকে সম্ভাষণ করিয়া কহিলেন, দিদি! আর এখানে দাঁড়াইয়া ভাবিলে ও বৃথা কালহরণ করিলে, কি ফল হইবে বল; চল, আমরা অধিরাজ বাহাদুরের নিকটে গিয়া, এই অহঙ্কারিণী তপস্বিনীর অন্যায় আচরণ বিষয়ে অভিযোেগ করি, তিনি অবশ্যই বিচার করিবেন। চন্দ্রপ্রভা কহিলেন, বিলাসিনি! তুমি বিলক্ষণ বুদ্ধির কথা বলিয়াছ; চল, তাঁহার নিকটেই যাই। তিনি যত ক্ষণ না, স্বয়ং এখানে আসিয়া, আমার স্বামীকে বল পূর্ব্বক দেবালয় হইতে বহিস্কৃত করিয়া, আমার হস্তে দিতে সম্মত হন, তাবৎ আমি কোনও ক্রমে তাহাকে ছাড়িব না; তাঁহার চরণে পড়িয়া থাকিব এবং অবিশ্রামে অশ্রু বিসর্জ্জন করিব। এই কথা শুনিয়া বণিক কহিলেন, আপনারা কিঞ্চিৎ অপেক্ষা করিলে, এই খানেই অধিরাজের সহিত সাক্ষাৎ হইবেক। আমি অবধারিত জানি, সন্ধ্যার অব্যবহিত পূর্ব্বে, তিনি এই পথ দিয়া বধ্যভূমিতে যাইবেন। বেলা অবসান হইয়াছে; সায়ংকাল আগতপ্রায়; তাঁহার আসিবার আর বড় বিলম্ব নাই। বসুপ্রিয় জিজ্ঞাসিলেন, তিনি কি জন্যে এ সময়ে বধ্যভূমিতে যাইবেন। বণিক কহিলেন, আপনি কি শুনেন নাই, হেমকূটের এক বৃদ্ধ বণিক জয়স্থলের অধিকারে প্রবেশ করিয়াছিলেন, এই অপরাধে তাহার প্রাণদণ্ডের আদেশ হইয়াছে; ভাহার শিরচ্ছেদনকালে অধিরাজ বাহাদুব স্বয়ং বধ্যভূমিতে