পাতা:মঙ্গলচণ্ডী - দ্বিজ মাধব .pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जूनि r- SO হইতে ১৬শ শতকের মধ্যে জীমূতবাহন, শূলপাণি, বৃহস্পতি মহিন্তা, বিদ্যাপতি, রঘুনন্দন প্রভূতি পণ্ডিতগণ দুর্গাপূজা-সম্বন্ধে নিবন্ধ রচনা করেন । এইভাবে ক্ৰমে ক্ৰমে দুৰ্গাপূজাই বাংলার জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। অপর পক্ষে মঙ্গলচণ্ডীর ধারা পণ্ডিত-সমাজের পৃষ্ঠপোষকতা-লাভে অসমর্থ হইয়া প্রধানত: মঙ্গলচণ্ডীর গীতগুলির মধ্যে কোনও প্রকারে অস্তিত্ব বজায় রাখে। শারদীয়া দুগাপূজার সময়ে চণ্ডীপাঠের রীতি প্ৰাচীন কাল হইতেই প্ৰচলিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দুর্গাপূজার কয়দিন মঙ্গলচণ্ডীর গীত গাওয়া হইত। এইভাবে এই দুই ধারার মিলন-সাধনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সে যুগে দেশে সংস্কৃতের প্রতি শ্ৰদ্ধা বৃদ্ধি পাইতেছিল বলিয়াই হউক অথবা চণ্ডী-সপ্তশতীর উদাত্ত সুরের জন্য কিংবা অন্য যে-কারণেই হউক, মঙ্গলচণ্ডীর গীতের পক্ষে চণ্ডী-সপ্তশতীকে স্থানচুত্যুত করা সম্ভবপর হয় নাই। এইভাবে মঙ্গলচণ্ডী বিশিষ্ট পৌরাণিক দেবতাগণের পঙক্তি হইতে ক্ৰমে ক্ৰমে চুত্যুত হইয়া পড়িলেন। বাংলাদেশে দুর্গাপূজা-সম্বন্ধে নানা প্রকার পদ্ধতি প্রচলিত আছে। তাহাদের মধ্যে কালিকাপুরাণ-বণিত পদ্ধতি অন্যতম। এই কালিকাপুরাণেই মঙ্গলচণ্ডীর পূজার কথাও পাওয়া যায়। কালিকাপুরাণের মঙ্গলচণ্ডী ও চণ্ডীমঙ্গলের দেবীর মধ্যে সাদৃশ্য আছে, ইহা পূর্বে বলা হইয়াছে। এই দুই দেবী যে মূলতঃ এক, ইহা বুঝাইবার জন্য আরও বিস্তৃত আলোচনা হওয়া আবশ্যক। এই পুরাণে চণ্ডীমঙ্গলের দেবীর পূর্ববৰ্ত্তী স্তরের সন্ধান পাওয়া যায়। চণ্ডীমঙ্গলের দেবীর মধ্যে উমা, লক্ষ্মী, মহিষমদিনী চণ্ডী ও সরস্বতীর সমন্বয় সাধিত হইয়াছে। কালিকাপুরাণ-বণিত মঙ্গলচণ্ডী ও দুইজন দেবী-মুক্তির সমন্বয়ে গঠিত, তাঁহাদের একজন শান্তপ্রকৃতির ও অন্য জন উগ্ৰপ্ৰকৃতির। কালিকাপুরাণে মঙ্গলচণ্ডীর দ্বিবিধ মুক্তির কথা বলা হইয়াছে, তাঁহাদের নাম लविउ-कांठा 8 ऊँौक्-कांठा । जूलनौम : পরা ললিতকান্ত্যিাখ্যা যা শ্রীমঙ্গলচণ্ডিকা । তস্যাস্তু সততং রূপং তীক্ষকান্তাহব্রুয়াং নৃপ । লোহিতাঙ্গস্য দিবস প্রিয়ো’স্যা: পরিকীক্তিতঃ। কালো বসন্তকালশচ স্বরশচাপি তু পঞ্চম: । (৮০ ; ৩৯ ও ৫৯) বসন্তকাল ও পঞ্চমস্বর এই দেবীর প্ৰিয় । ইহা সরস্বতীর কথা মনে করাইয়া দেয়। আবার উগ্র মাতৃ-মুক্তির ন্যায় মঙ্গলবার এই দেবীর প্রিয় বার। দুৰ্ব্বাঙ্কুর ও আতপ তণ্ডুল দ্বারা এবং ঘটে এই দেবীর পূজা করা হয়, এই পূজাবিধির সহিত চণ্ডীমঙ্গল-বাণিত দেবীর পূজা-বিধির মিল পাওয়া যাইতেছে।