পাতা:মঙ্গলচণ্ডী - দ্বিজ মাধব .pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vÜlyO शक्लडीन औउ গানের ভূমিকা-স্বরূপ কয়েকটি শ্লোক আছে। রাধাকৃষ্ণের লীলা-কাহিনী গানগুলির সাহায্যেই বাণিত হইয়াছে। প্রতিটি গানের প্রথমে রাগ ও তালের উল্লেখ আছে। স্পষ্টই দেখা যাইতেছে, শ্লোকগুলি আবৃত্তি করা হইত এবং গীতগুলি সুর-তাল-সহকারে গান করা হইবে বলিয়া রচিত হইয়াছিল। জয়দেব এই কাব্য-ভঙ্গীটিকে “ মঙ্গল-গীতি ” আখ্যা দিয়াছিলেন। মহাবংশে উল্লেখিত মঙ্গল-গীতিও সম্ভবতঃ এইরূপ ছিল ; এই প্রকার গান ও ছড়ার সাহায্যে কাহিনী বৰ্ণনা করায় জয়দেবী রীতিটিই বাংলা মঙ্গল-গীতগুলিতে অবলম্বিত হইয়াছিল। দুঃখের বিষয়, মঙ্গল-গীত DD DDDYSDBBD BBDBBB DDDDDDD DBD DDB KDBBBD BBD BDBB ব্যবহার করি যে বাংলার মঙ্গল-গানগুলির এই রূপ-গত (formal) বৈশিষ্ট্যफ्रेंडू यांभब्रा कामशे छुजिब्रा यांशेराउझिं । দ্বিজ মাধবের চণ্ডীমঙ্গল এই দিক দিয়া একখানি খাটি মঙ্গল-গীত । মঙ্গল-গানের বিশিষ্ট রূপ (form) এই কাব্য হইতে স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। জয়দেবের কাব্য সাগ-বিভক্ত ; দ্বিজ মাধবও তাঁহার কাব্যটিকে সযত্নে বিভিন্ন পালায় বিভক্ত করিয়াছেন। তাহা ছাড়া, কাব্যটিতে গানের প্ৰাচুৰ্য্য দেখিতে পাওয়া যায়। এবং প্রতি গানের প্রতিলিপির শীর্ষে রাগরাগিণীর উল্লেখ এই কাব্যের পুথিগুলির একটি বৈশিষ্ট্য। লেখক ছড়া কাটিয়া কাহিনী-ভাগ আবৃত্তি করিবার জন্য পয়ার ছন্দ ব্যবহার করিয়াছেন। এবং ভাবাবেগ যেখানেই গভীর ও উদ্বেল হইয়া উঠিয়াছে, সেখানেই লেখকের রচনা প্রায়শঃ বর্ণনামূলক পয়ার-ভঙ্গী বর্জন করিয়া ত্রিপদী বা একাবলীর গতি-বৈচিত্র্যের আশ্ৰয় লইয়াছে। এই সকল পদ যে সুর-তাল-সংযোগে গেয়, তাহা বুঝাইবার জন্য লেখক প্রতি ক্ষেত্রেই রাগ-রাগিণীর উল্লেখ করিয়াছেন। বিভিন্ন পুথিতে মোটের উপর একই প্রকার রাগ-রাগিণীর নাম পাওয়া যাইতেছে, ইহ লক্ষ্য করিবার বিষয়। কাব্যে এইরূপ রাগ-রাগিণীর উল্লেখ বিশেষ তাৎপৰ্যপূর্ণ। বৈদিক যুগে কবিতায় ছন্দের উল্লেখ থাকিত। এই ধারা অনুসরণ করিয়া চাঁদ বরাদাই, জয়সী, তুলসী দাস প্রভৃতি প্রাচীন হিন্দী কবিগণ ছন্দের নির্দেশ দিতেন। কিন্তু প্ৰাচীন বাংলা-কাব্যগুলি “ গীত-ছন্দে * রচিত হইত। অর্থাৎ সেগুলি ছিল প্ৰধানতঃ গোয়। ঐ কাব্যগুলিতে সাধারণতঃ পিয়ার ছন্দে রচিত অংশই শুধু প্রাচীন হিন্দী কবিতার ন্যায় সুর করিয়া আবৃত্তি করা হইত। সেজন্য এই সকল অংশের উপর লেখা থাকিত পয়ার’, এবং গেয় পদগুলির উপর রাগ-রাগিণীর নাম থাকিত। পরবর্তী যুগে কবিগণ এই ব্যাপারে কতকটা