পাতা:মঙ্গলচণ্ডী - দ্বিজ মাধব .pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O बक्लफ़ौब्र औठ একথা বলা চলে যে, সংস্কৃতে রচিত একই গণেশ-বন্দনা। এই কবিগণ আদর্শ রূপে গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। গঙ্গামঙ্গল চণ্ডীমঙ্গল-রচয়িতা মাধবানন্দের লেখা হইতে পারে না, তাহার কারণগুলি সংক্ষেপে সূত্রাকারে বলা হইল। (১) গঙ্গামঙ্গলের ভণিতায় কোথাও মাধবানন্দ নাম নাই, সৰ্ব্বত্রই দ্বিজ মাধবা। (২) গঙ্গামঙ্গলে রাগিণীয় সঙ্গে সঙ্গে তালেরও উল্লেখ আছে, কিন্তু চণ্ডীমঙ্গলে তালের উল্লেখ নাই। (৩) গঙ্গামঙ্গলের ভাষা ও দৃষ্টিভঙ্গী অধিক পরিমাণে সংস্কৃত-ঘেঁষা, এবং ছন্দ অনেক বেশী সংযত। দশমাত্রিক একাবলী ছন্দের সংখ্যা খুব বেশী, ও উহা চণ্ডীDDBD DD tDD BD S S0S DuBDDBDDBD BBuBu uBBD BBB আছে, কিন্তু চণ্ডীমঙ্গলে বিষ্ণুপদ ছাড়া অন্য কোথাও চৈতন্যের উল্লেখ নাই। (৫) গঙ্গামঙ্গলে সৃষ্টিতত্ত্ব বা অন্যান্য দেব-দেবীর বন্দনা নাই, গণেশ-বিন্দনার পরেই কাহিনী আরম্ভ করা হইয়াছে। (৬) গঙ্গামঙ্গলে উপদেশ ও তত্ত্বকথা প্রচার করার দিকে লেখকের দৃষ্টি বেশী, কিন্তু চণ্ডীমঙ্গলে কাহিনীই প্রাধান্য লাভ করিয়াছে। এই সকল যুক্তি সমগ্রভাবে গ্রহণ করিলে সন্দেহ থাকে না। যে, এই দুইজন দ্বিজ মাধবের কবি-মনে ও রচনা-ভঙ্গীতে পাথক্য বৰ্ত্তমান। চণ্ডীমঙ্গলের ন্যায় শ্ৰীকৃষ্ণমঙ্গলেও সুন্দর সুন্দর বৈষ্ণব-পদাবলী স্থান লাভ করিয়াছে। কিন্তু ইহার দ্বারা কিছু প্ৰমাণ হয় না। বিষ্ণুপদ অন্যান্য মঙ্গলগানেও পাওয়া যায়। শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল-সম্বন্ধে প্ৰধান অসুবিধা এই যে, ইহাতে নানা প্রকার প্রক্ষেপ দেখিতে পাওয়া যায়। যতদিন না। এই গ্রন্থের কোনও প্রামাণিক সংস্করণ বাহির হইতেছে, ততদিন চণ্ডীমঙ্গল ও শ্রীকৃষ্ণমঙ্গলের जूजना क्ब्र वृथा । পাঠ-প্ৰসঙ্গ একজন সাহিত্য-সমালোচক’। মুদ্রাষন্ত্রের প্রচলনকে সাহিত্য-জগতের একটি যুগান্তকারী ঘটনা বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। তিনি বলেন প্রাকৃarts-rific is sit set ergart (floating literature), সেজন্য তাহার মধ্য দিয়া কবির ব্যক্তিত্ব ভালভাবে পরিস্ফুট হইতে পারিত না । এই মন্তব্য প্রাচীন বাংলা-সাহিত্য-সম্বন্ধেও প্রযোজ্য। পাঠক ও পুথিলেখকগণের হাতে পড়িয়া কাহার লেখা কিরূপ আকার ধারণ করিবে, সেবিষয়ে তখন কোনও লেখকই নিশ্চিত হইতে পারিতেন না । লেখকমাত্রেই R. G. Moulton, The Modern Study of Literature, pp. 18-20.