পাতা:মঙ্গলচণ্ডী - দ্বিজ মাধব .pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

सृषेिक sSMO সাহিত্যিক অমরতা কামনা করেন, সেজন্য সে-যুগে লেখকগণ ভণিতায় নিজেদের নাম যুক্ত করিয়া স্বকীয় রচনার উপর নিজ দাবী প্রতিষ্ঠিত রাখিবার চেষ্টা করিতেন। কিন্তু ভণিতায় নূতন নাম সংযোজন করা কিছুমাত্র কঠিন নহে ; এমন কি নূতন অংশ সংযোজন করাও মোটেই অসম্ভব নহে। সেকালে এইরূপ ব্যাপার অহরহঃ ঘটিত বলিয়াই আমরা আজ কৃত্তিবাস-সমস্যা ও চণ্ডীদাস-সমস্যার সন্মুখীন হইয়াছি। পরবর্তী কালে এই সকল মহাকবিদের রচনা শুধু যে অপরের নামে চালাইবার চেষ্টা হইয়াছে, তাহা নহে, অনেক সময়ে অক্ষম কবিগণ নিজেদের পঙ্গ রচনায় মহাকবিদের নাম যুক্ত করিয়া পরোক্ষ অমরতা লাভ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। শুধু বাংলা-কাব্যের পুথি-লেখক সম্বন্ধেই এই অভিযোগ নহে। অন্যত্রও ইহার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এই প্রসঙ্গে প্রাচীন পৰ্য্যটক আলাবেরুনীর একটি মন্তব্য উল্লেখ-যোগ্য। ভারতে আসিয়া এখানকার শিক্ষা ও সভ্যতা সম্বন্ধে পুথি-গত জ্ঞান অর্জন করিতে গিয়া তিনি যে অসুবিধা ভোগ করিয়াছিলেন, তাহা বৰ্ণনা করিতে গিয়া তিনি লিখিয়াছিলেন : “Add to this that the Indian scribes are careless and do not take pains to produce correct and wellcollated copies. In consequeuce the highest results of the author's mental development are lost by their negligence, and his books become already in the first or second copy so full of faults, that the text appears as something entirely new. বাংলাতেও একটা কথা আছে, “ সাত নকলে আসল খাস্তা ।” লিপিকরদের ভ্রম-প্রমাদাবশতঃ অনেক সময়ে অদ্ভুত অদ্ভুত পাঠ স্বীষ্ট হয়। যেমন ইহাদের হাতে পড়িয়া প্ৰভু হইয়াছিলেন “ ভুসি সে কােবল প্ৰভু ভুসি সে কাবলী।” অনেক সময়ে নকল্যকারীদের " স্থূলহস্তাবলেপে ’ বিভ্ৰাট ঘটতেও দেখা যায়। যেমন একবার, মহাপ্ৰভু জাতিভেদ মানিতেন না। এই মতবাদ প্রচার করিবার সময়ে একটি প্ৰসিদ্ধ বৈষ্ণব-গ্ৰন্থ হইতে প্ৰমাণ উদ্ধৃত করা হইল, প্ৰভু কহে ডোমের অনুগ্র যে-জন খায়। কিন্তু অনেকের মতে ঐ পংক্তির প্রকৃত পাঠ “প্ৰভু কহে তোমার অন্ন যে-জন शांश !' 釜

  • Alberuni's India.-Ed. by E. Sachau, p. 18.