দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
ঘরে সিঁদ, ঘরের দরজা ভিতর হইতে বন্ধ, অথচ ঘরের ভিতর তারামণি নাই। এইরূপ অবস্থায় তারামণি কোথায় গেল? চোরের ভয়ে তারামণি যদি ঘরের দরজা খুলিয়া বাহির হইয়া গিয়া থাকে, তাহা হইলে ঐ চোর ঘরের ভিতর হইতে ঐ দরজা কেন বন্ধ করিয়া দিবে? তবে কি তারামণি ঐ সিঁদের মধ্য দিয়াই প্রস্থান করিয়াছে? তাহাই বা অনুমান করি কি প্রকারে? এরূপ কথাতো এ পর্য্যন্ত কখন শুনি নাই। আর যদি তারামণি কোনরূপে তাহার ঘরের ভিতর হইতে বহির্গত হইয়া পলায়ন করিয়াই থাকে, তাহা হইলেই ব। এতক্ষণ পর্য্যন্ত সে পলায়িত রহিবে কেন? পূর্ব্বে মনে করিয়াছিলাম, তারামণিকে হত্যা করিয়া চোরে তাহার যথা-সর্ব্বস্ব অপহরণ করিয়া লইয়া গিয়াছে। আমার সে অনুমান যদি প্রকৃত হইত, তাহা হইলে তারামণির মৃতদেহ নিশ্চয়ই এই ঘরের কোন না কোন স্থানে প্রাপ্ত হইতাম। মনে মনে এইরূপ অনেক চিন্তা আসিয়া উপস্থিত হইল, কিন্তু কিছুই স্থির করিয়া উঠিতে পারিলাম না!
প্রাণের ভয়ে কোন স্থানে তারামণি যদি লুক্কায়িত থাকে, ইহা ভাবিয়া সেই গ্রামের মধ্যে ও তাহার নিকটবর্ত্তী গ্রাম সকলের মধ্যে তাহার উত্তমরূপে অনুসন্ধান করিলাম; কিন্তু কোন স্থানেই তারামণির কোনরূপ সন্ধান প্রাপ্ত হইলাম না। পন্পপ অবস্থায় তখন যে আর কি কর্ত্তব্য, তাহা ভাবিয়া