তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
যে দিবস বাড়িওয়ালা আমার থানায় আসিয়াছিলেন, সে দিবস তারামণির গৃহে গমন করিবার সময় কোনরূপেই করিয়া উঠিতে পারিলাম না। পর দিবস প্রত্যূষেই গিয়া সেই স্থানে স্থানীয় দুই তিনজন ভদ্রলোককে ডাকাইয়া তারামণির ঘরের দরজা খুলিয়া সেই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিলাম। বাড়িওয়ালা থানায় গিয়া পূর্ব দিবস যাহা বলিয়া আসিয়াছিল, সেই ঘরের ভিতর প্রবেশ করিয়াই জানিতে পারিলাম যে, তাহার কথা প্রকৃত; ঘরের মধ্য হইতে কেমন একটা অল্প অল্প দুর্গন্ধ বাহির হইতেছে। কোথা হইতে ঐ দুর্গন্ধ বাহির হইতেছে, তাহা জানিবার নিমিত্ত ঐ ঘরের মধ্যে পুনরায় উত্তমরূপে অনুসন্ধান করিয়া দেখিলাম; কিন্ত কিছুই স্থির করিতে পারিলাম না। ঘরের মধ্যস্থিত সিন্দুক বাক্সগুলি বিশেষরূপে লক্ষ্য করিয়া দেখিবার কালীন, লোহার সিন্দুকের গাত্রে ছুই চারিটী ক্ষুদ্র পিপীলিকা দেখিতে পাইলাম। আরও বোধ হইল, ঐ দুর্গন্ধ যেন সেই লোহার সিন্দুকের নিকটেই অধিক পরিমাণে বোধ হইতেছে।
লোহার সিন্দুকের এই অবস্থা দেখিয়া আমার মনে এক ভয়ানক চিন্তা আসিয়া উপস্থিত হইল, ক্রমে ভয়েরও সঞ্চার হইতে লাগিল। কেন যে ভয় হইল, তাহা আমিই ঠিক বুঝিয়া উঠিতে পারিলাম না, পাঠকগণকে বুঝাইব কি প্রকারে?