চতুর্থ পরিচ্ছেদ
হত্যাকারী যাহা ভাবিয়া তারামণির মৃতদেহ লোহার সিন্দুকের ভিতর বন্ধ করিয়া তাহার চাবি সহিত প্রস্থান করিয়াছিল, তাহা হইল না; তারামণির মৃতদেহ পরিশেষে বাহির হইয়া পড়িল। আর আমরাও মনে মনে যাহা ভাবিয়া বা যেরূপ অনুমান করিয়া এই অনুসন্ধানে লিপ্ত হইতেছি, তাহাও যে কার্য্যে পরিণত হইবে, তাহাও অনুমান করা যাইতে গারে না। যাহা হউক, এখন হত্যা মোকর্দ্দমার অনুসন্ধানে আমাদিগকে লিপ্ত হইতে হইল। এরূপ মোকর্দ্দমার অনুসন্ধান করিতে হইলে সর্ব্ব প্রথমে অপহৃত মালের তালিকা আমরা প্রস্তত করিয়া থাকি। তাহার পর কি উপায় অবলম্বন করিলে ঐ সকল অপহৃত দ্রব্য আমরা পুনরায় প্রাপ্ত হইতে পারি, তাহারই চেষ্টা দেখিয়া থাকি। কিন্তু বর্তমানক্ষেত্রে আমাদিগকে সে উপায় পরিত্যাগ করিতে হইল। কারণ, তারামণির ঘর হইতে কি কি দ্রব্য অপহৃত হইয়াছে, তাহার তালিকা আমরা সেই সময় প্রস্তুত করিতে সমর্থ হইলাম না। কেবল এইমাত্র জানিতে পারিলাম যে, তারামণির অঙ্গে সময় সময় বালা, তাগা ও হার প্রভৃতি কয়েকখানি অলঙ্কার পরিহিত থাকিত এবং যে রাত্রিতে তাহার ঘরে সিঁদ হইয়াছে, তাহার পূর্ব্ব দিবস ঐ কয়েকখানি অলঙ্কার তাহার অঙ্গে পরিহিত ছিল, তাহাও কেহ কেহ দেখিয়াছে। সুতরাং কেবলমাত্র ঐ কয়খানি অলঙ্কারের উপর নির্ভর করিয়া আমাদিগকে এখন ঐ অনুসন্ধানে নিযুক্ত হইতে হইল।