বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মতিয়া বিবি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ

 সময়মতে উচ্চ আদালতে পাঁচ জন জুরির সাহায্যে এই মোকর্দ্দমার বিচার হয়। মহম্মদ মসলিম নিতান্ত সাঙ্গিন অপরাধে অভিযুক্ত, সুতরাং বিচারকও জুরিগণের সাহায্যে বিশেষ বিবেচনার সহিত তাহার বিচার করিতে আরম্ভ করেন। তাহার উপর যে সকল প্রমাণ আমরা সংগ্রহ করিতে সমর্থ হইয়াছিলাম, তাহাতে জজ ও জুরিগণের মনে বিশ্বাস হয় যে, মসলিম তারামণিকে হতা করিয়া তাহার সমস্ত দ্রব্যাদি অপহরণ করিয়া লইয়া গিয়াছে। আর ইহাও সাব্যস্ত হয় যে বিষ-প্রয়োগই তারামণির মৃত্যুর কারণ। কারণ, রাসায়নিক পরীক্ষকের নিকট হইতে যে রিপোর্ট প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহাতে জানিতে পারা যায় যে, তারামণির শবছেদকারী ডাক্তার তাঁহার নিকট যে নকল পদার্থ প্রেরণ করিয়াছিলেন, তাহার মধ্য হইতে বিষ প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। মসলিম হত্যাপরাধে অভিযুক্ত, কিন্তু বিচারালয়ে তাহার পক্ষ সমর্থন করিতে ব্যবহারজীবিগণের মধ্যে কেহই উপস্থিত ছিলেন না। মসলিমও তাহার নিজের পক্ষ সমর্থন করিবার নিমিত্ত কোন কথা কহিল না। তাহার বিপক্ষে প্রমাণ প্রয়োগ সমস্ত শেষ হইয়া গেলে, এ বিষয়ে তাহার কি বক্তব্য আছে, তাহা বিচারক তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন। উত্তরে মসলিম কেবল এইমাত্র কহিল, সে যে তারামণিকে হত্যা করে নাই, তাহারই কেবল একটীমাত্র প্রমাণ সে