পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । যুবকগণের মধ্যে এই প্রশ্ন বিচারিত হইতে লাগিল যে, তবে কি এত দিন পৰ্য্যন্ত এই সমগ্ৰ জাতীয় জীবন যে ভাবে গঠিত হইয়াছে, ইহার একেবারেই সার্থকতা নাই, তবে কি আবার তাহাদিগকে পাশ্চাত্যপ্ৰণালী অনুসারে নূতনভাবে জীবন গঠন করিতে হইবে, তবে কি প্ৰাচীন পুথিপাটা সব ছিড়িয়া ফেলিতে হইবে, দর্শনগ্রন্থগুলি পুড়াইয়া ফেলিতে হইবে, তাহদের ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যগণকে তাড়াইয়া দিতে হইবে, মন্দিরগুলি ভাঙ্গিয়া ফেলিতে হইবে ? তরবারি ও বন্দুকের সাহায্যে নিজ ধৰ্ম্মের সত্যতা প্ৰমাণ করিতে সমর্থ বিজেতা পাশ্চাত্যজাতি যে বলিতেছেন, তোমাদের পুরাতন যাহা কিছু আছে, সবই কুসংস্কার, সবই পৌত্তলিকতা ! পাশ্চাত্য প্ৰণালী অনুসারে পরিচালিত নূতন বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষিত বালকগণ অতি বাল্যকাল হইতেই এই সকল ভাবে অভ্যস্ত হইল, সুতরাং তাঁহাদের ভিতর যে সন্দেহের আবির্ভাব হইবে, ইহা কিছু আশ্চর্যের বিষয় নহে। কিন্তু কুসংস্কার ত্যাগ করিয়া প্ৰকৃতভাবে সত্যানুসন্ধান না হইয়া দাড়াইল এই যে, পাশ্চাত্যেরা যাহা বলে, তাহাই সত্য । পুরোহিতকুলের উচ্ছেদ সাধন করিতে হইবে, বেদরাশি পুড়াইয়া ফেলিতে হইবে-কেন না, পাশ্চাত্যেরা একথা বলিতেছে। এইরূপ সন্দেহ ও У о