পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব। বেতন দিতে হইত না । তঁহাদের এই ধারণা ছিল, জ্ঞান এতদূর পবিত্ৰ বস্তু যে, কাহারও উহা বিক্রয় করা উচিত নয়। কোন মূল্য না লইয়া অবাধে জ্ঞান বিতরণ করিতে হইবে । আচাৰ্য্যের ছাত্ৰগণকে বিনা বেতনে নিজেদের নিকট রাখিতেন, আর শুধু তাহাঁই নহে, তঁহাদের মধ্যে অনেকে ছাত্ৰগণকে অশািনবসন প্ৰদান করিতেন । এই সকল আচাৰ্য্যের বায়নিৰ্বাহ জন্য বড়লোকেরা বিবাহ শ্ৰাদ্ধাদি বিশেষ বিশেষ সময়ে তাহাদিগকে দক্ষিণ দিতেন । বিশেষ বিশেষ দানের অধিকারী বলিয়া ভঁাহারা বিবেচিত হইতেন এবং তঁহাদিগকে আবার তঁহাদের ছাত্রগণকে প্ৰতিপালন করিতে হইত। যে বালকাটীর কথা আমি বলিতেছি, তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্ৰাতা একজন পণ্ডিতলোক ছিলেন । তিনি তাহার নিকট পাঠ আরম্ভ করিলেন । অল্পদিন পরে তাহার দৃঢ় ধারণা হইল যে, সমুদয় লৌকিক বিদ্যার উদ্দেশ্য— কেবল সাংসারিক উন্নতি । সুতরাং তিনি লেখাপড়া ছাড়িয়া আধ্যাত্মিক জ্ঞানান্বেষণে সম্পূর্ণরূপে জীবন সমর্পণ করিতে সংকল্প করিলেন। পিতার মৃত্যুর পর সংসারে প্ৰবল দারিদ্ৰা আসিল, এই বালককে নিজের আহারের সংস্থানের চেষ্টা করিতে হইল। তিনি কলিকাতার সন্নিকটে একটী স্থানে যাইয়া তথাকার মন্দিরের পুরোহিত R O