পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । হয়, কারণ, ভারতে ধৰ্ম্ম প্ৰত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব, আর লোকে নিজ গৃহে নিৰ্জনেই নিজ আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সমুদয় উপাসনাদি নির্বাহ করিয়া থাকে। আমাদের নীয় কাৰ্য্য বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে । ইহার তাৎপৰ্য্য এই ষে, যেমন অর্থবিনিময়ে বিদ্যাদানই যখন নিন্দাহঁ কাৰ্য্য বলিয়া পরিগণিত হয়, তখন ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে এ তত্ত্ব যে আরও অধিক প্ৰযুজ্য, ইহা বলা বাহুল্য মাত্ৰ-মন্দিরের পুরোহিত যখন বেতন লইয়া কাৰ্য্য করে, তখন সে এই সকল পবিত্ৰ বিষয় লইয়া ব্যবসা করিতেছে বলিতে হইবে । অতএব যখন দারিদ্র্যের নিমিত্ত বাধ্য হইয়া এই বালককে তাহার পক্ষে জীবিকার একমাত্ৰ উপায়স্বরূপ মন্দিরের পৌরোহিত্য কৰ্ম্ম অবলম্বন করিতে হইল, তখন তাহার মনের ভাব কিরূপ হইল, কল্পনা করিয়া দেখ । বাঙ্গালা দেশে অনেক কবি হইয়া গিয়াছেন, তঁহাদের রচিত গীত সাধারণ লোকের মধ্যে খুব প্ৰচলিত হইয়াছে। কলিকাতার রাস্তায় রাস্তায় এবং সকল পল্লীগ্রামে সেই সকল সঙ্গীত , গীত হইয়া থাকে। ইহাদের মধ্যে অধিকাংশই ধৰ্ম্মসঙ্গীত আর সেই গুলির সারা ভাব এই যে - ধৰ্ম্মকে সাক্ষাৎ অনুভব করিতে হইবে, আর-সম্ভবতঃ এই R,