পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भौश क्षैश्च । পাগলামী হইতেই জগৎ-আলোড়নকারী শক্তির উদ্ভব হইয়াছে, আর ভবিষ্যতেও এইরূপ পাগলামী হইতেই শক্তি উদ্ভূত হইয়া জগৎকে আলোড়িত করিবে। এইরূপে দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস সত্যলাভের জন্য অবিশ্রান্ত চেষ্টায় কাটিল। তখন তিনি নানাবিধ অলৌকিক দৃশ্য, অস্তৃত রূপ দেখিতে আরম্ভ করিলেন, তঁহার নিজ স্বরূপের রহস্য র্তাহার নিকট ক্রমশঃ উদঘাটিত হইতে লাগিল । যেন আবরণের পর আবরণ অপসারিত হইতে লাগিল । জগন্মাতা নিজেই গুরু হইয়া এই বালককে তঁহার অন্বেষিত সত্যপ্ৰাপ্তির সাধনে দীক্ষিত করিলেন । এই সময়ে সেই স্থানে পরমা সুন্দরী, পরমা বিদুষী এক মহিলা আসিলেন। শেষাবস্থায় এই মহাত্মা তাহার সম্বন্ধে বলিতেন যে, বিদুষী বলিলে তঁহাকে ছোট করা হয়-তিনি বিদ্যা মূৰ্ত্তিমতী । যেন সাক্ষাৎ দেবী সরস্বতী মানবাকার ধারণা করিয়া আসিয়াছেন । এই মহিলার বিষয় আলোচনা করিলেও তোমরা ভারতবর্ষীয়দিগের বিশেষত্ব কোনখানে,তাহা বুঝিতে পরিবে। সাধারণতঃ হিন্দুরমণীগণ যেরূপ অজ্ঞানান্ধকারে বাস করে এবং পাশ্চাত্যদেশে যাহাকে স্বাধীনতার অভাব বলে, তাহার মধ্যেও এইরূপ উচ্চ আধ্যাত্মিকতাবসম্পন্ন রমণীর অভু্যদয়ি সম্ভব হইয়াছিল। WS