পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । কথাবাৰ্ত্ত কহিতে লাগিলেন, পুরুষের কায সব ছাড়িয়া দিলেন, নিজ পরিবারের রমণীমণ্ডলীর মধ্যে বাস করিতে লাগিলেন -এইরূপে অনেক বর্ষ ধরিয়া সাধন করিতে করিতে তাহার মন পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গেল, তাহার লিঙ্গজ্ঞান একেবারে দূর হইয়া গেল, সঙ্গে সঙ্গে কামের বীজ পৰ্য্যন্ত দগ্ধ হইয়া গেল-ৰ্তাহার নিকট জীবনটা সম্পূর্ণরূপে दगाव्झेझ cश्व् । আমরা পাশ্চাত্য প্রদেশে নারীপূজার কথা শুনিয়া থাকি, কিন্তু সাধারণতঃ এই পূজা নারীর সৌন্দৰ্য্য ও যৌবনের পূজা। ইনি। কিন্তু নারীপূজা বলিতে বুঝিতেন, সকল নারীই সেই আনন্দময়ী মা ব্যতীত অন্য কিছু নহেনতঁহারই পূজা। আমি নিজে দেখিয়াছি, সমাজ যাহাদিগকে স্পর্শ করিবে না, তিমি এরূপ স্ত্রীলোকদের সম্মুখে করযোড়ে দাড়াইয়া রহিয়াছেন, শেষে কাদিতে কাঁদিতে তাহাদের পদতলে পতিত হইয়া অৰ্দ্ধবাহশূন্য অবস্থায় বলিতেছেন, “মা, একরূপে তুমি রাস্তায় দাড়াইয়া রহিয়াছ, আর একরূপে তুমি সমগ্র জগৎ হইয়ােছ। আমি তোমাকে প্ৰণাম করি, মা, আমি তোমাকে প্ৰণাম করি।” ভাবিয়া দেখ, সেই জীবন কিরূপ ধন্য, র্যাহা হইতে সৰ্ববিধ পশুভাব চলিয়া গিয়াছে, যিনি প্ৰত্যেক রমণীকে ভক্তিভাবে 8o