পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । দর্শন করিতেছেন, যাহার নিকট সকল নারীর মুখ অন্য আকার ধারণ করিয়াছে, কেবল সেই আনন্দময়ী ভগবতী। জগদ্ধাত্রীর মুখ তাহাতে প্ৰতিবিম্বিত হইতেছে। ইহাই আমাদের প্রয়োজন। তোমরা কি বলিতে চাও, রমণীর মধ্যে যে ঈশ্বরত্ব রহিয়াছে, তাহাকে ঠকাইতে পারা যায় ? তাহা কখন হয় নাই, হইতেও পারে না । জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে উহা সর্বদাই আত্মপ্ৰকাশ করিতে চেষ্টা করিতেছে। উহা অব্যৰ্থভাবেই সমুদয় জুয়াচুরি কপটতা ধরিয়া ফেলে, উহা অভ্রান্তভাবে সত্যের তেজ, আধ্যাত্মিকতার আলোক ও পবিত্রতার শক্তি উপলব্ধি করিয়া থাকে । যদি প্ৰকৃত ধৰ্ম্মলাভ করিতে হয়, তবে এইরূপ পবিত্ৰত পৃথিবীর সর্বত্রই অত্যাবশ্যক। এই ব্যক্তির জীবনে এইরূপ কঠোর, সর্বদোষ-বিরহিত পবিত্ৰতা আসিল । আমাদের জীবনে যে সকল প্ৰতিদ্বন্দ্বী ভাবের সহিত সংঘর্ষ রহিয়াছে, তঁহার পক্ষে তাহা আর রহিল না । তিনি অতি কষ্টে ধৰ্ম্মধন সঞ্চয় করিয়া মানবজাতিকে দিবার জন্য প্ৰস্তুত হইলেন, তখন তঁহার কাৰ্য্য আরম্ভ হইল । তাহার প্রচারকাৰ্য্য ও উপদেশদান আশ্চৰ্য্য ধরণের। আমাদের দেশে আচাৰ্য্যের খুব সম্মান, ভঁাহাকে সাক্ষাৎ ঈশ্বর জ্ঞান করা হয়। আচাৰ্য্যকে 8S