পাতা:মধুক্রম - বিমলাকান্ত মুখোপাধ্যায়.pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা স্নেহাস্পদ বিমল ভায়ার কবি-প্রতিভার পরিচয় বিভিন্ন সাময়িক পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত র্তার নানা ধরণের কবিতা থেকে অনেকেই পেয়েছেন, আমিও সেই অনেকের একজন । “সঙ্গীত-বিজ্ঞান প্রবেশিকা” “ পরাগ” “তপোবন” দৈনিক বসুমতী” “হিন্দু” ভগ্নদূত” “দুন্দুভি” ‘ কাটোয়া-বাৰ্ত্তা" “সুবর্ণবণিক সমাচার” “যুগ-রবি” “চু চুড়া বাৰ্ত্তাবহ” প্রভৃতি মাসিক, সাপ্তাহিক ও দৈনিক পত্রিকায় তার লেখা আমি পেয়েছি । আজকে শ্ৰীমানের ‘মধুক্রম সাহিত্য-রসিকদের হাতে দেবার পূৰ্ব্বক্ষণে, আমার বলবার কথা এইটুকু যে, বইখানার নামের প্রথমে ‘মধু থাকলেও, বইয়ের ভিতরে শুধু ‘মধু নেই--মৌমাছির হুলও আছে । যে সকল কল্পিত-চিত্র শ্ৰীমান একেছেন, তাদের জীবন্ত অভিব্যক্তি র্যারা আমাদের সমাজে আছেন, মৌমাছির হুল তাদের গায়ে বেশ ভালভাবেই বিধকে। ঈশ্বর গুপ্ত লিখেছিলেন—“এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা ।” বাংলার সেই রঙ্গের স্রোতস্বিনী আজ শুকিয়ে যেতে চলেছে । স্বাধীন ভারতে—বাঙ্গালীর এবং সঙ্গে সঙ্গে বাংলা-ভাষার অস্তিত্বও থাকবে কি-না সন্দেহ । সেই শুষ্ক, নীরস, হাস্যহীন বাঙ্গালীর জীবনে একটু হাসি উপভোগের সুযোগ এনে দিয়েছে ভায়ার কবিতাগুলি । র্তার ‘দ্বিতীয়-পক্ষের বুড়ে বড় যখন দুঃখ করে বলেন— •••“কাশী বাওয়াই ছিল ভাল গুটিয়ে সকল পাত তাড়ি” ।