সুদৃঢ় পদক্ষেপে মারটের নিকটে আসিয়া বলিল, “আপনাকে, অনেকক্ষণ আটক ক’রে, রেখেছি ব’লে, দুঃখিত হচ্চি, মুসো মারাট! চলুন, এইবার আমায় কোথায় নিয়ে যাবেন চলুন!”
মারাট এতক্ষণ নীরবে তাহারই ভাব পর্য্যবেক্ষণ করিতেছিলেন। তাহার সুন্দর সমুন্নত দেহ, সম্রাজ্ঞীর মত নির্ভীক চালচলন ও আত্মগরিমা দেখিয়া তিনি মনে মনে বিস্ময় অনুভব করিতে লাগিলেন। নিষ্ঠুর-প্রকৃতি রিপব্লিক-কর্ম্মচারীর পাষাণ চিত্তও ইহাতে যেন দ্রব হইয়া আসিয়াছিল। মনে মনে তারিফ্ করিয়া বলিলেন, “অনেক তীক্ষ্ণবুদ্ধি বিজ্ঞ ও নিরীহ লোকের শোণিত ধারায় রঞ্জিত হ“লেও গিলোটিনের ভাগ্যে এমন একটী মন্তক ইহার পূর্ব্বে জুটে নাই। আমি তাকে ফ্রান্সের একটি অমূল্য দ্রব্য এবার উপহার দিতে পারব।”
জুলিয়েটের আবাহনে মারাট সচকিতে চাহিয়া দেখিয়া, উঠিয়া দাড়াইলেন—“প্রস্তুত?”
“সম্পূর্ণ। আসুন!”
অকম্পিত দৃঢ়পদে জুলিয়েট্ অগ্রবর্ত্তিনী হইয়া