পাতা:মধুমল্লী - অনুরূপা দেবী.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

 গুলজান্ গোরখপুর হইতে পলাইয়া হাঁটা পথে পশ্চিমবঙ্গ উত্তীর্ণ হইয়া পদ্মাপারে নিজের দূর সম্পর্কীয় ভ্রাতার কাছে আশ্রয় লওয়ার পর ষোল বৎসর অতীত হইয়া গিয়াছে। ইয়াসিন এখন সুশ্রী, সবল যুবাপুরুষ। এখন সে মাতুলের গাড়িঘোড়ার ব্যবসায়ের অংশীদার। গুলজান তাহার জন্য কঠিনতর পরিশ্রম করিতে এখনও শ্রান্তি বোধ করিত না। সে মায়ের চেয়ে দাসীর মতই তাহার সেবা করিত। ছেলেও মা ভিন্ন কাহাকেও চিনে না, এখন সে মায়ের কোলের শিশু, আদরের দুলাল!

 শরীরের শক্তিতে মনের তেজে ইয়াসিন নিজের কার্য্যে বেশ একটু উন্নতি করিতে লাগিল। তাহার মধ্যে কি ছিল তাহা নিজেই জানিত না, কিন্তু এইটুকু সে লক্ষ্য করিয়াছে যে, তাঁহার মুখ চাহিয়া দেখিলেই তাহার ইংরাজ আরোহীর চোখে একটা বিস্ময়পূর্ণ স্নেহ-করুণার ভাব ব্যক্ত হইয়া উঠিত এবং সে ভাড়াটা বেশ ভাল

১৩