অমৃত কিছু বুঝিতে পারিল না দেখিয়া সে তাহাকে বুঝাইয়া দিল যে, মা সেই গল্পের জলকন্যা। এই কুটীরে সে ঘৃণার চক্ষেই বাস করছিল, আজ সে আমাদের ছেড়ে নিজের ঘরে ফিরে গিয়েছে, আর আসবে না।
অমৃত। (তীব্র স্বরে) ঈস্ চ’লে যাবেন, গেলেই অমনি হ’ল; বাবা যেতে দেবেন কেন? হ’লই বা ক্ষুদ্রকুটীর, এই ক্ষুদ্র কুটীরইতো তাঁর বাড়ী। বাবা তাঁকে ধ’রে আনবেন।
সুধা। (আর্ত্তস্বরে) না দাদা! তার এ বাড়ী নয়, বিশাল সমুদ্রের নীচে তার প্রবালের ঘর আছে। হীরার প্রদীপে সেখানে আলো জ্বলে, মুক্তার ঝালরে চাঁদোয়া খাটায়, সােনার পালঙ্কে সে শুয়ে থাকে, সে আর আস্বে না।
অমৃত ডাকিল—বাবা, ও বাবা।
(এমন সময় ভিজা জাল কাঁধে লইয়া ধীবর নন্দ ধীরে ধীরে প্রবেশ করিল)
নন্দ। মুক্তা! একটা কাঠের গুঁড়ি সমুদ্রে ভেসে যাচ্ছিল, ধ’রে রেখেছি। কুড়ুল খানা নিয়ে চল তো কেটে আনিগে। (মুক্তাকে না দেখিতে পাইয়া) তােমাদের মা কোথা গেছে?