সুধা। (কাঁদিতে কাঁদিতে) ফিরে গেছে।
নন্দ সবিস্ময়ে উভয়ের মুখের দিকে চাহিল।
অমৃত। আমি কাঁকড়া ধরতে গিয়ে পাহাড়ের গর্ত্ত থেকে একখানা প্রবালের ওড়না পেয়েছিলেম, সেইটে—
নন্দ। এতদিন পরে! হা নির্ব্বোধ! সেটা কি হ’ল?
অমৃত। মাকে দিয়েছি। মা সেইটা প’রে—
নন্দ। জাল ফেলিয়া ছুটিয়া বাহিরে গেল, আবার ফিরিয়া আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কতক্ষণ?”
অমৃত। এখনি সমুদ্রের দিকে গিয়েছেন।
নন্দ মুক্তা মুক্তা করিয়া উন্মাদের ন্যায় সমুদ্রকূলে ছুটিল।
সুধা। দেরী হয়ে গেছে। সে এতক্ষণ সমুদ্রের নীচে চলে গেছে। আর সে ফিরে আসবে না।
নন্দ। (পুনঃ প্রবেশ করিয়া) কোথাও নাই, সে চ’লে গেছে। সে ফাঁকি দিয়ে চ’লে গেছে। (দুই হাতে বুক চাপিয়া শয্যার উপর পড়িল) আমি একলা এতদিন ফাঁকি দিয়ে আমার এই ক্ষুদ্র কুটীরে চুরি করে এনে রেখেছিলাম, আজ সে তার শােধ নিলে, আমার—আমার বুকের পাঁজর ভেঙ্গে দিয়ে চ’লে গেল।