এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মধুমল্লী
কিনা শনিবার, সেইজন্য আজ এক্ষুনি থেকে এসেছিলুম।”
কি একটা অনুভূত আনন্দে আমার সমস্ত শরীরটায় যেন কাঁটা দিয়ে উঠলো। কি মধুর ভ্রাতৃস্নেহে এই শিশু হৃদয়টুকু পূর্ণ হয়ে আছে। সুন্দর ফুলটি তেমনি কি সুরভিস্নিগ্ধ! জিজ্ঞাসা কর্লেম, তোমার বাড়ী বুঝি কাছেই? তোমার বাড়ীতে আর কে কে আছেন?”
বালিকা তার হাতের ফলের ঝাড়টা একটু খানি নেড়ে চেড়ে আমার পানে তার— আজকের আকাশের মত নয়—কিন্তু অন্যদিন যে রকম রং আকাশে মেঘের সময় দেখা যায় তেমনি রংঙের— চোক দুটি ফেরালে, কি শান্ত সুন্দর সেই দুটী চোখ!
নম্রভাবে ধীর কণ্ঠে বলে, “বাড়ীতে আমার মা আছেন, আর কেউ নেই। ঐ যে আমাদের বাড়ী।”
বালিকার নির্দ্দেশ মতন চেয়ে দেখলুম, নদী তীরের যে ছোট কুটীরগুলি এ যাবৎ লক্ষ্যের বিষয় বলে কখন মনেও করিনি তারি একটি কুটীর সেই চাঁদের মত মেয়েটিকে কোলে নিয়ে পবিত্র হয়ে উঠে এখন
২৬