বেলা নদীর তীরে আমাদের দেখা হত। ক্ষেতগুলিতে জল দিয়ে, বাগানটীর বেড়া বাঁধায় তাদের সাহায্য করে তাদের সঙ্গে সবুজ ঘাসের উপর বসে পড়ে দেশ বিদেশের নানারকম গল্প ক’র্তে ক’র্তে আমার মনে হত, স্বর্গ কোথায়? আমার দেওয়া জলছবির খাতা, কিছু খাবার ও খেলনা হাতে করে তুলে নেবার সময় দুটি শিশুরই আনন্দ-উজ্জ্বল দুখানি মুখে হঠাৎ একটী কুণ্ঠার দ্বিধা এত ধীরে ঈষৎ রক্তিমার সঞ্চার ক’র্ত যে, আমি দুঃখিত না হয়ে তাদের নির্লোভ মর্য্যাদাজ্ঞানের পরিচয়ে আনন্দই অনুভব কর্তুম। স্বাধীন পার্ব্বত্য প্রদেশীয়ের সন্তানজ্ঞানে তাদেব ছোট বুকদুটিও ভরা। তা থাক, ছোটই তো বড় হয়।
অভিজিৎ বল্তো তার বড় যোদ্ধা হবার সাধ। তাদের পিতামহ এবং পিতা নাকি নেপালে যুদ্ধের সময় সম্সের জঙ্গের পক্ষে থাকিয়া দেশের জন্য প্রাণ দিয়াছিলেন। তাই দাদার কথা শুনে কাঞ্চীর ফোটা ফুলের মত মুখখানি ভয়ে যেন এতটুকু হয়ে যেত। সে ছোট দুটী হাতে তার গলাটি জড়িয়ে ধরে ভাঙ্গা ভাঙ্গা