প্রত্যেকেই তাহাদের হিংস্র পশুর মত দীর্ঘ নখের দ্বারা কোমল পুষ্প পেলবের মত তাহাকে তেমনি সহজে সহজে তেমনি অকরুণতীত ছিন্ন করিয়া ফেলিতে সক্ষম!
রমণী নিজের বিপদের কথা নিজের দুর্ব্বুদ্ধি ঘটিত উত্তেজনার পর মুহূর্ত্তেই বুঝিতে পারিয়াছিল। ব্যাকুলভাবে তাই সে সম্মুখের সেই প্রকাণ্ড প্রাসাদ তুল্য অট্টালিকার দ্বারের দিকে ছুটিয়া গেল। কিন্তু এই বিপ্লবের দিনে কি কেহ নিজের গৃহদ্বার বিপদকে বরণ করিবার জন্য খুলিয়া রাখে?
হতাশ হইয়া নারী তখন দ্বারে পিঠ দিয়া দাঁড়াইল, বিপদকে সম্মুখে করিয়া দাড়ান—তাহার পিছন হইতে আক্রমণের চেয়ে অনেক ভাল।
কিন্তু সেইটুকু হীনতার মধ্যে ফেলিয়া নিষ্ঠুর প্রতিহিংসা পরায়ণ উন্মত্ত নরনারীগণ তাহাকে মুক্তি দিল না! তাহারা তাহার অনুসরণ করিয়া আসিয়াছিল, তাহার পোষাকের প্রান্ত ধরিয়া তাহাদের নির্দ্দয়ভাবে একজন সজোরে আকর্ষণ করিল।
শেষ মুহুর্তেও যাহা সে করিবে না স্থির করিয়া-