ব্যারনেস মাদাম ডিরোলেড কহিয়া উঠিলেন, “নির্ব্বোধ মেয়ে! কি তুমি অবুঝের মত কথাবার্ত্তা কইচো! তুমি কিসের জন্য এই ভয়ানক চিঠি লিখ্তে যাবে? মহাশয়! আমার ছেলের বিপদ আশঙ্কায় ওর সব বুদ্ধি শুদ্ধিই লোপ পেয়ে গ্যাছে। দেখছেন না এরকম কখনও কি হ’তে পারে, আপনিই বলুন না-পারে কি? মারাট নীরবে ডিরোলেডের মুখের দিকে চাহিলেন। সেই পাষাণমুর্ত্তি প্রাণহীনের মতই স্তব্ধ, তেমনি অবিচল। তখন তিনি অপরাধনীর দিকে ফিরিয়া সেই মর্দ্দিত পত্রখানার একটি টুকরা কুড়াইয়া লইয়া তাহা দেখাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ লেখা আপনার?” জুলিয়েট্ মৃদুস্বরে উত্তর করিল, “হাঁ। আমারই।”
“এ রকম লেখবার কিছু যথার্থ কারণ আছে?”
“আছে।”
মারাট সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিলেন “কি?”
এবার জুলিয়েট তাহার সুনীল স্বচ্ছ নেত্রদ্বয় মারাটের মুখের উপরে নির্ভীকভাবে স্থাপন করিয়া অকম্পিতম্বরে উত্তর করিল, “এখন বলবো না, বিচারালয়েই সমস্ত বল্বো।”