পাতা:মনসামঙ্গল - ক্ষেমানন্দ দাস.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 3 ) মৃত্যুমুখে পতিত হইবেন। প্রথমতঃ চাদ কিছুতে স্বীকৃত হইলেন না। পরিশেষে বেহুল ও সনকার কাতর ক্রদনে দেবীপূজা অঙ্গীকার করিলেন । ভাববৈচিত্র্য বা রচনা-পারিপাট্যের অভাব পরিলক্ষিত ইলেও এই ক্ষুদ্র কাব্যখনিতে যাঙ্গ আছে, তাহা জগতে অতুলনীয় বলিলেও অভূক্তি হয় না। জলপথে বেহুলার অশেষ লাঞ্ছনীয় কথা মনে হইলে রাক্ষসীপরিবেষ্টিত। সীতাদেবীর বিবিধ বিড়ম্বনাময় চিত্র স্বতই মানসপটে উদিত হয় এবং মৃত পণ্ডিয় জীবন-লাভ-ব্যাপারে সাবিত্রীকে স্মরণ করাইয়া দেয় । কবি, শিব-শক্তি মনসাদেবীর পূজার ব্যবস্থা করিয়া প্রসঙ্গক্রমে দেখাইলেন, শাক্তকে ত্যাগ করিয়া কখন শিবকে ठणीङ कम्नां घप्रिं न] । গ্রন্থোপ্লিখিত স্থানগুলির ভৌগলিক সংস্থান নির্দেশ করিতে গিয়া বঙহ গোলে পড়িতে হয়। শুদ্ধ প্রবাদের উপর নির্ভর কারলে চাদের নিবাসভূমি কোথায় ছিল স্থির কর এক প্রকায় অসাধ্য হইয় পড়ে। বঙ্গদেশের অধিকাংশ জেলাতেই চাদ সদাগরেব কোন না কোন নিদর্শন দেখা যায়। কোথাও চাদের প্রতিষ্ঠিত দেউল, কোথাও চাদের নিখাত দীঘী, কোন স্থানে বা চাদের ভিট, অক্ষত্র বেহুলার বদরের ভগ্নস্তৃপ ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রযুক্ত দীনেশ বাবু বলেন, “মনসার ভাসান-গান এক সময়ে বঙ্গীয় জনসাধারণের এত প্রিয় ছিল যে, এতদ্দেশের প্ৰত্যেক জেলার লোকেরা ভাসান-গামের নায়ক চত্রধরের নিবাসভূমি স্বীয় জন্মস্থানের অদূরবত্ত কল্পনা করিয়া স্বখান্থ