পাতা:মনের নিয়ন্ত্রণ যোগ-মেডিটেশন - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! . 1 কিছু কথা তােতা কাহিনী বিজ্ঞান চেতনা উন্নয়নে ব্রতী একটি সংস্থার আমন্ত্রণপত্র পেলাম। সময়টা ২৭ ডিসেম্বর ২০০৫ সাল। সংস্থাটি দীর্ঘ যােল বছর ধরে একটি সুন্দর প্রদর্শনীর আয়ােজন করে চলেছে উত্তর কলকাতায়। সংস্থার কাজ-কর্মে শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমন্ত্রণপত্রটির শেষ অংশে চোখ এবং মন দিলে বােধহয় কিছু ভ্রান্তি পাবেন। মগজধােলাই-এর শিকার হয়ে পড়েননি তাে? আর তাইতেই কি লিখেছেন- ‘ক্ষুদির কানাইলাল থেকে বিনয়-বাদল-দীনেশ-র মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছে সেই স্বাধীনতা আজ বিপন্ন। বিদেশী প্রভুদের হাতে দেশের সম্পদ লুণ্ঠনের অবাধ অধিকার না দিলে পরিণাম : ইরাক। তাই বিজ্ঞানকর্মীদের চাই আর্কিমিডিসের মতন সঙ্কল্প। চাই নতুন শপথ : ‘বিজ্ঞান চাই, সঙ্গে যে চাই দেশকে ভালােবাসা। এই আমন্ত্রণ পত্রের কয়েকটি পয়েন্ট নিয়ে মুক্তমনে আলােচনার অবকাশ আছে। (এক) “স্বাধীনতা আজ বিপন্ন”। অর্থাৎ স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে, ভারত এখনও স্বাধীন। তবে, স্বাধীনতা বিপন্ন। যে ভারতের অর্থনীতি থেকে বিদেশনীতি, কৃষিনীতি থেকে বাণিজ্যনীতি ঠিক করে দেয় আমেরিকার মতাে দাদা দেশ, সে দেশকে কতটা স্বাধীন বলবাে? পােয়াটা? নাকি সিকিটা? (দুই) “বিদেশী প্রভুদের হাতে সম্পদ লুণ্ঠনের অবাধ অধিকার না দিলে পরিণাম : ইরাক।” এইখানে স্বীকার করা হলাে ভারতের বিদেশী প্রভু আছে। অর্থাৎ, ভারত পুরােপুরি স্বাধীন নয়। পাশাপাশি বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী প্রভুর ইরাকে থাবা বসানাের প্রতি শ্লেষ ও উষ্ম ঢাকা থাকেনি। কিন্তু ঢাকা তুলে দেখান হয়নি ভারতের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র। ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলাের ওপর দাদাগিরি করে। ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে ভারত কথায় কথায় দাদাগিরি করেছে। পূর্বপাকিস্তানে নাক গলিয়ে বাংলাদেশ তৈরি করেছে। শ্রীলঙ্কায় তামিল টাইগারদের অর্থ-অস্ত্র-প্রশিক্ষণ দিয়েছে। স্বাধীন সিকিমকে অঙ্গরাজ্য বানিয়ে ছেড়েছে। ভারত যখন ব্রিটিশদের অধীন, তখন করের বিনিময়ে স্বাধীনতা ভােগ করতে নাগাল্যান্ড মণিপুর, কাশ্মীর। ছলে-বলে-কৌশলে এইসব স্বাধীন দেশকে ভারত দখল করেছে। এরপর কী করে বলি, ভারত অ-সাম্রাজ্যবাদী দেশ? স্বাধীন দেশ নেপাল চিনের কাছ থেকে বন্দুক কিনেছে, শুধুমাত্র এই অপরাধে ১৯৮৮ সালে নেপাল অবরােধ করে ভারত। ১৮ মাস চলে অবরােধ। নেপাল ভয়ংকর রকমের আর্থিক সংকটে