তীর হইতে কে বলিয়া উঠিল, “ময়ূখ, তাহাই সত্য, সত্য, তোমার পিতৃরাজ্য তুমি ফিরিয়া পাইবে।”
যুবক ও ধীবর চমকিত হইয়া চাহিয়া দেখিল, তীরে বেণু কুঞ্জের মূলে এক দীর্ঘকায় গৈরিকধারী সন্ন্যাসী দাঁড়াইয়া আছেন। তাঁহাকে দেখিয়া যুবকের দেহ রোমাঞ্চিত হইল, তিনি ভক্তিভরে প্রণাম করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্রভু, আপনি কি বলিতেছেন?”
“সত্য বলিতেছি, ময়ূখ, কিছুদিন পরে তুমি তোমার পিতৃরাজ্যের অধীশ্বর হইবে।” যুবক দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিল, “প্রভু, তাহা অসম্ভব।”
“জগতে কিছুষ্ট অসম্ভব নহে, ময়ূখ। ধর্ম্মপথে থাকিও, সত্য হইতে বিচলিত হইও না, দেবতা, ব্রাহ্মণ, রমণী ও শিশুকে রক্ষা করিও, অসহায় ও অনাথের সহায় হইও, তাহা হইলে ভগবান্ একদিন মুখ তুলিয়া চাহিবেন। সম্মুখে পরীক্ষা উপস্থিত।” যুবক ভক্তিভরে প্রণাম করিয়া মুখ তুলিয়া দেখিল সন্ন্যাসী অন্তর্হিত হইয়াছেন। যুবক বিম্মিত হইয়া ধীবরের মুখের দিকে চাহিলেন, ধীবরও তাঁহার মুখের দিকে চাহিল। যুবক জিজ্ঞাসা করিল, “ভুবন, সন্ন্যাসী ঠাকুর কোন্ দিকে গেলেন?” ভুবন মাথা চুলকাইতে চুলকাইতে কহিল, “তাই ত! ঠাকুর কোন্ দিকে গেলেন?” “তুমি দেখ নাই?” “না— মহারাজ, আমি চক্ষু মুদিয়া ছিলাম” “কেন?” “মহারাজ,—” “ভুবন, আবার মহারাজ?” “হুজুর, আমার সাতপুরুষ যে কথা