পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ
১২৭

 “জহাপনার হুকুম।”

 “পর্ত্তুগীজের জাহাজ দেখিলেই মারিবে, পর্ত্তুগীজের পণ্য দেখিলেই লুটিবে, তাহা হইলে সুবা বাঙ্গালা ও উড়িষ্যায় কুঠী খুলিতে পারিবে।”

 সুরট বন্দরের ইংরাজ কোম্পানীর প্রধান সসম্মান অভিবাদন করিয়া কহিল, “বাদশাহের ফর্ম্মাণ পাইলেই পারি।”

 “কল্য প্রভাতে ফর্ম্মাণ পাইবে।”

 তখন ইংরাজ কোম্পানি পর্ত্তুগীজ বণিকের প্রতিদ্বন্দ্বী; আরব সমুদ্রে, পারস্য উপসাগরে ও সুরটে ইংরাজ বণিকের সহিত পর্ত্তুগীজগণের বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যুদ্ধ হইয়া গিয়াছে। বাদশাহের মুখে এই অপ্রত্যাশিত সুখ সংবাদ শুনিয়া ওয়াইল্‌ড সানন্দে তিনবার ভূমি চুম্বন করিয়া অভিবাদন করিল। বাদশাহ্‌ উজীরকে কহিলেন, “সাহেব, ফিরিঙ্গি দমন ফিদাইখাঁর কার্য্য নহে, কল্য কাসেমখাঁকে তলব করিবেন, দেবেন্দ্রনারায়ণের পুত্র হাজারী মন্‌সবদার।”

 সকলে অভিবাদন করিলেন; তঞ্জাম আসিল, বাদশাহ্‌ রঙ্গমহলে প্রবেশ করিলেন।

 ময়ূখ যখন গৃহে ফিরিতেছিলেন তখন অন্ধকারে এক ব্যক্তি তাঁহার মস্তকে আঘাত করিল, তিনি চেতনা হারাইয়া পড়িয়া গেলেন। তখন একজন পুরুষ ও একটি রমণী তাঁহার দেহ একখানি ছোট নৌকায় তুলিল এবং যমুনা বাহিয়া দুর্গের পাণি ফটকে প্রবেশ করিল। অন্ধকারে লুকাইয়া আর এক