বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২৮
ময়ূখ

ব্যক্তি ময়ূখের গতিবিধি লক্ষ্য করিতেছিল, নৌকা পাণি ফটকে প্রবেশ করিতে দেখিয়া সে সহরে উজীর আসফখাঁর গৃহে সংবাদ দিতে চলিল।


ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ
গুপ্তপথে

 যখন চেতনা ফিরিয়া আসিল, তখন ময়ূখ দেখিলেন যে তিনি একটি সঙ্কীর্ণ কক্ষমধ্যে বহুমূল্য শয্যায় শয়ান আছেন। কক্ষটি দুই হস্তের অধিক প্রশস্ত নহে, কিন্তু দীর্ঘে অনন্ত। সেই অপ্রশস্ত গৃহে অস্পষ্ট আলোকে ময়ূখ দেখিতে পাইলেন যে তাঁহার শিয়রে এক ভয়ঙ্করী রমণীমূর্ত্তি বসিয়া আছে। তাহার নাসিকা নাই বলিলেই হয়, চক্ষু দুইটি ক্ষুদ্র, কোটরগত, বর্ণ হরিদ্রাভ। তাঁহার চেতনা ফিরিয়াছে দেখিয়া, রমণী শয্যার নিকটে আসিল, ময়ূখ দেখিতে পাইলেন যে তাহার কটিদেশে দীর্ঘ কৃপাণ আবদ্ধ রহিয়াছে। রমণী তাতারী, তখন ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় তাতার রমণী ব্যতীত অন্য কোন জাতীয় স্ত্রীলোক মোগল বাদশাহের অন্তঃপুরে প্রতিহারীর পদ পাইত না। ময়ূখ কয়েক বৎসর আগ্রায় থাকিয়া তাতার চিনিয়াছিলেন। তিনি ভয়ে শিহরিয়া উঠিলেন। তিনি জানিতেন