সঙ্গে সঙ্গে দুইজন কাফ্রী ও দুইজন তাতারী প্রতিহারী ময়ূখের পশ্চাতে আসিয়া দাঁড়াইল। তিনি অভ্যাসবশতঃ কটিদেশে হস্তাপর্ণ করিলেন দেখিলেন, তরবারি নাই। খোজাদ্বয় তাঁহার হস্তধারণ করিল, শাহ্জাদী পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “দেখ, ইহাকে চিনিতে পার?”
“না।”
“তোমার নাম কি?”
“আমার নাম ময়ূখ।”
“মিথ্যা কথা, তোমার নাম সর্ওয়ার্ খাঁ।”
ময়ূখ বিস্মিত হইয়া কহিলেন, “শাহজাদী আপনি যে নাম উচ্চারণ করিলেন তাহা আমি কখনও শুনি নাই। আমি হিন্দু, আমার নিবাস বাঙ্গালা মুলুকে, আমার নাম ময়ূখ, আমার পিতার নাম দেবেন্দ্রনারায়ণ। আসদ্ খাঁ, শাহ্নওয়াজ খাঁ প্রভৃতি আমীরগণ আমার পরিচয় অবগত আছেন।”
তখন দ্বিতীয়া শাহজাদীর কর্ণমূলে কহিল, “বেগম সাহেব উনি পাগল হইয়া অবধি ও ঐরকম বলেন। বাঙ্গালা মুলুকে সরকার সাতগাঁয়ে পিতাকে প্রথমে ঐরূপ পরিচয় দিয়াছিলেন। সমস্তই অদৃষ্টের দোষ; আমি কি করিব বাদশাহ্জাদী।”
দ্বিতীয়া এই বলিয়া পুনরায় রুমাল দিয়া চক্ষু মুছিল। শাহজাদী তাহাকে শান্ত করিবার জন্য আলিঙ্গন করিয়া কহিলেন, “তুই কাঁদিতেছিস কেন, গুলরুখ্? আমি দুইদিনে খাঁ সাহেবের পাগলামী সারাইয়া দিব। সর্ওয়ার্ খাঁ, তুমি হিন্দু নহ,