সাহেব জাফর খাঁ গাজীর দর্গাহ্ দেখিয়াছেন কি? এমন খুবসুরত ইমারৎ হিন্দুস্থানে অল্পই আছে।” যুবা ধীরে ধীরে কহিল, “না।”
“তবে চলুন, আপনাকে দেখাইয়া আনি।” যুবা তাহার আকস্মিক দয়ার কারণ বুঝিতে না পারিয়া কহিল, “চলুন।” উভয়ে তিন্তিড়ি বৃক্ষের পশ্চাতে অবস্থিত পাষাণনির্ম্মিত সমাধিমন্দিরে প্রবেশ করিল।
বজরার গবাক্ষ হইতে যুবতী তাহা দেখিল। সে তাহার সঙ্গিনীকে কহিল, “ফতেমা, নাজির আহমদ কি নৌকায় আছে?” ফতেমা কহিল, “খাঁ সাহেব বোধ হয় বাজারে গিয়াছেন, ঠিক বলিতে পারি না, দেখিয়া আসি।” ফতেমা বজরার বাহিরে আসিয়া দেখিল যে, বজরার পশ্চাতে একখানি পান্সীর উপরে দাঁড়াইয়া একজন প্রৌঢ় ফর্শীতে তামাকু সেবন করিতেছে। প্রৌঢ়া তাহাকে কহিল, “খাঁ সাহেব, বিবি আপনাকে তলব করিয়াছেন।” প্রৌঢ় তাহা শুনিয়া ফর্শী নামাইয়া রাখিল এবং কহিল, “ফতেমা বিবি, সাহেবা বুঝি চটিয়াছেন, কল্য রাত্রিতে সেতারের মেজরাপ্ খরিদ করিতে হুকুম করিয়াছিলেন, আমি সন্ধ্যাবেলায় আফিম্ টানিয়া তাহা বিলকূল ভুলিয়া গিয়াছি। বিবির হাতে সেতার দেখিয়া ডিঙ্গার ভিতরে লুকাইয়া ছিলাম। খোদা তালার কসম বিবিজান, আজ সকালে সাহেবার মেজাজটা কেমন বল দেখি?” ফতেমা হাসিয়া কহিল, “খাঁ সাহেব, তোমার নসিবে আজ দুঃখ নাই। মেজাজ বড়ই