পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
৪১

ত্যাগ করিয়া মুসলমানকে কহিলেন, “সাহেব, এখন আপনি নিশ্চিন্ত মনে গমন করুন, আমি গৃহে চলিলাম।” মুসলমান বন্দুকে বারুদ ভরিতে ভরিতে কহিলেন, “কাফের, তুমি বীর, অদ্য তুমি আমার জীবন রক্ষা করিয়াছ; সুতরাং তুমি আমার দোস্ত। তোমাকে এখন ছাড়িব না, তুমি আমার সহিত কিল্লায় ফিরিয়া চল। তুমি ফিরিঙ্গির রক্তপাত করিয়াছ, সুবা বাঙ্গালা তোমার পক্ষে নিরাপদ স্থান নহে। তুমি কে? কোথা হইতে আসিতেছ?” “সাহেব, বিশেষ কারণে আপনাকে পরিচয় দিতে পারিব না। ফিরিঙ্গি আমার দুষমন্‌, তাহারা আমার এক আত্মীয়াকে হরণ করিয়া অনিয়াছে; আমি তাহারই উদ্ধারের চেষ্টায় সপ্তগ্রামে আসিয়াছি।”

 “যুবক, আমি তোমার পিতার বয়সী, আমার নিকট সত্য গোপন করিয়া ভাল করিতেছ না। তুমি আমার জন্য ফিরিঙ্গি হত্যা করিয়াছ, সুবা বাঙ্গালায় বাস করিতে হইলে, তোমাকে আমার সহিত বাস করিতে হইবে। আমি বাদশাহী নাওয়ারার আমীর, আমার নাম আসদ্‌ খাঁ।”

 যুবা বিম্মিত হইয়া আমীরের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন, এবং ক্ষণকাল পরে কহিলেন, “খাঁ সাহেব, আপনি আমার পিতৃবন্ধু, আপনার নিকট পরিচয় গোপন করিব না। আমার নাম ময়ূখ, পরগণা বারবক্‌ সিংহের ভূতপূর্ব্ব জমীদার মহারাজ দেবেন্দ্রনারায়ণ রায় আমার পিতা—”

 “তুমি দেবেন্দ্রনারায়ণের পুত্র! সপ্তগ্রামে আসিয়াছ,