এখনই একদল আহদী ও দশটা ভারি তোপ বন্দেলের পথে পাঠাইয়া দাও।” বুড়া আফিম্চী কাঁপিতে কাঁপিতে কহিল, “যো হুকুম খোদাবন্দ, কি হইয়াছে?”
“শাহনশাহ বাদশাহ দীন ও দুনিয়ার মালিক নূরুদ্দিন জহাঙ্গীর বাদশাহের রাজ্যে প্রকাশ্য পথে দিনের আলোকে ফিরিঙ্গি আমার উপরে গুলি চালাইয়াছে।” বৃদ্ধ ফৌজদার কাঁপিতে কাঁপিতে পড়িয়া গেল।
সন্ধ্যা আগত প্রায়, পশ্চিমে আম্রপণসের কুঞ্জে ভগবান্ মরীচিমালী আশ্রয় লাভ করিয়াছেন, বিশাল সপ্তগ্রাম নগরের অসংখ্য পথে সহস্র সহস্র দীপ জ্বলিয়া উঠিয়াছে। একটি প্রশস্ত রাজপথের পার্শ্বে দ্বিতল অট্টালিকার উপরে বারাণ্ডায় বসিয়া আমাদের পরিচিতা যুবতী সেতার বাজাইতেছিলেন, তাহার পার্শ্বে একখানি গালিচার উপরে বসিয়া ফতেমা চাঁদির বাটা লইয়া পান সাজিতেছিল এবং নাজীর আহমদ্ সঙ্গত করিতেছিল; বারাণ্ডার এক কোণে দাঁড়াইয়া বুড়া হবিব চাঁদির কলিকায় ফুঁ দিতেছিল। পুরবী কেদারা পুরিয়া ও গৌরী
