পাই নাই বলিয়া খাইতে পারি নাই।” “যখন অবসর পাইবে খাইও, আর যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে তাহা হইলে আমার এই পুত্রবধূটিকে খাওয়াইও। আমার পুত্র আসদ্খাঁর সহিত লড়াই করিতে গিয়াছে, আমি বৃদ্ধ হইয়াছি তাহাকে রক্ষা করিতে পারি নাই।” বৃদ্ধের পশ্চাতে একজন মুসলমান দোকানদার দাঁড়াইয়াছিল, সে বৃদ্ধকে কহিল, “হুজুর, তখনই কহিয়াছিলাম যে ফিরিঙ্গির সহিত হাঙ্গামা বাধিবার পূর্ব্বে সপ্তগ্রাম ছাড়িয়া পলাইয়া যাইবেন, আপনি নূতন সপ্তগ্রামে আসিয়াছিলেন, এদেশের হাল চাল অবগত নহেন।” বৃদ্ধ কহিলেন, “ভাই শাহান্শাহ নূরুদ্দীন মহম্মদ জহাঙ্গীর বাদশাহের রাজত্বে এমন হইতে পারে তাহা জানিতাম না।” “ফৌজদার কলিমুল্লা খাঁ আফিম্চী, সুবাদার মোকরম্ খাঁ বহুদূরে জহাঙ্গীর নগরে, বাদশাহ আরও দূরে আগরায় অথবা দিল্লীতে, সরকার সপ্তগ্রাম, নামে মাত্র মোগল বাদশাহের ফৌজদারী, ইহা প্রকৃত পক্ষে ফিরিঙ্গি হার্মাদের রাজত্ব।”
“বন্ধু, আমরা যুদ্ধব্যবসায়ী, আমার পুত্র গোলন্দাজ, তাহার মুখে শুনিয়াছি আসদ্খাঁ থাকিতে বাদশাহের প্রজার কোন ভয়ের কারণ নাই।” “আসদ্খাঁ। বীর বটে, কিন্তু কলিমুল্লা খাঁ কাপুরুষ, তাহার কর্ম্মচারিগণ ঘুস্খোর।” “ভাই, মানুষে পড়িয়া শিখে আর ঠেকিয়া শিখে। দায়ে পড়িয়া সপ্তগ্রামে আসিয়া যাহা শিখিয়া গেলাম তাহা জীবনে ভুলিব না, আর যদি কখনও এ জীর্ণদেহ লইয়া বাদশাহী তখ্ৎ গাহের সম্মুখে