মিথ্যা কহিল, সে কহিল, “আমার খসম্ যে সপ্তগ্রামে ছিলেন তাহা আমি জানিতাম না।” বৃদ্ধ পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন যে, যুবকের প্রাণবায়ু তখনও নির্গত হয় নাই। তিনি ও হবিব্ আহত যুবককে বহন করিয়া লইয়া ত্রিবেণীর দিকে যাত্রা করিলেন।
জহাঙ্গীর নগরের দুর্গমধ্যে নদীতীরের একটি কক্ষে বসিয়া বাঙ্গালার সুবাদার মোকরম্ খাঁ বিশ্রাম করিতেছিলেন। ভীষণ গ্রীষ্ম, একজন বাঁদী নবাবের পদসেবা করিতেছিল, দুই জন ময়ূরপুচ্ছ লইয়া ব্যজন করিতেছিল, এবং চতুর্থা সুশীতল পানীয় লইয়। কক্ষের কোণে দাঁড়াইয়াছিল। এই সময়ে একজন খোজা কক্ষের দুয়ারে দাঁড়াইয়া নবাবকে অভিবাদন করিল। নবাবের নিদ্রাকর্ষণ হইতেছিল, তিনি বিরক্ত হইয়া আলস্যবিজড়িত কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি চাহ?” খোজা পুনর্ব্বার অভিবাদন করিয়া কহিল, “বন্দানওয়াজ, দেওয়ান হরেকিযণ সদরে অপেক্ষা করিতেছেন।” “হরেকিষণ অসময়ে কেন আসিল?” “বন্দা তাহাকে জানাইয়াছিল, যে সুবাদার