পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নবম পরিচ্ছেদ
৬১

দীর্ঘ শিখ ধারণ করিয়া কহিল, “তবে রে বেটা নেড়া, তুই আমাকে বেটা বলিস্? তোর এত বড় স্পর্দ্ধা হইয়াছে? চল্‌ আমি তোকে সিদ্ধেশ্বরীর মন্দিরে লইয়া গিয়া বলি দিব।” বৈরাগী যাতনায় অস্থির হইয়া চীৎকার করিতে লাগিল; কিন্তু তথাপি সিদ্ধেশ্বরী ও বলি শুনিয়া নিষ্ঠীবন পরিত্যাগ করিতে ভুলিল না। বৈষ্ণবের শিখা ছিঁড়িয়া যায় দেখিয়া সকলে মিলিয়া তাহাকে মদ্যপের হাত হইতে বাঁচাইল। মাতাল, টলিতে টলিতে চলিয়া গেল। তখন বৈরাগী মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে ব্রাহ্মণকে জিজ্ঞাসা করিল, “ঠাকুর মহাশয়, সত্য না কি?” ব্রাহ্মণ কহিলেন “কি?” “ঐ বেটা যাহা বলিল?” “আবার গালি দিতেছ? এখনই ত মরিতে বসিয়াছিলে?” “এখন ত আর শুনিতে পাইবে না?” “না পাউক, বৃথা গালি দিয়া ফল কি?” “ভাল, দিব না ঠাকুর মহাশয়, কথাটি কি সত্য?” “কি কথা?” “ঐ যা বলিল?” “সেত অনেক কথাই বলিল, তুমি কোন্‌ কথা জিজ্ঞাসা করিতেছ?” “ঐ যে, গির্জ্জায় গিয়া—” “গির্জ্জায় গিয়া কি?”, “ঠাকুর, সে কথা কি মুখে আনিতে আছে? থুঃ।” “তবে আমি বুঝিব কেমন করিয়া?” “ঐ যে গির্জ্জায় গিয়া, আপনাদের সেই কাল মাগীর সম্মুখে যাহা করেন তাহাই?” “ও, বলির কথা বলিতেছ?”

 বৈরাগী পুনরায় নিষ্ঠীবন ত্যাগ করিল। ব্রাহ্মণ এইবার বড়ই চটিল এবং কহিল, “পাষণ্ড, তুই মহামায়ার