পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৯০
ময়ূখ

লিখিলেন। চিন্তামণি মজুমদার মীর মুন্‌সী রূপে বাদশাহের দরবারে সংবাদ প্রেরণ করিলেন। তখন আসদ্‌খাঁ কহিলেন, “দেওয়ান্‌জী, তুমি যদি নাজিমী না আনিয়া নাওয়ারার একখানা গরাব্‌ বা দুইটা বড় তোপ আনিতে তাহা হইলে বড় খুসী হইতাম, আমি এখন হুগ্‌লী আক্রমণ করিতে যাইতেছি।”

 “কেন হুজুর?”

 “তিন দিন পূর্ব্বে হুগলীর ফিরিঙ্গিরা সপ্তগ্রাম আক্রমণ করিয়াছিল, বহুকষ্টে বাদ্‌শাহী বন্দর রক্ষা করিয়াছি, কল্য সন্ধ্যাকালে নবাব শাহ্‌নওয়াজ খাঁ হজরৎ জলালী পুত্রবধূ লইয়া বজরায় সফর করিতে গিয়াছেন আর ফিরিয়া আসেন নাই, সম্ভবতঃ ফিরিঙ্গি হার্ম্মাদ্‌ তাঁহার বজ্‌রা মারিয়াছে।”

 “এইবার হুজুর যখন স্বয়ং নিজাম হইয়াছেন, তখন বাঙ্গালা মুলুক হার্ম্মাদের অত্যাচার হইতে রক্ষা পাইবে।” “দেওয়ান, যে কয়দিন আমি নাজিম থাকিব, সে কয়দিন হার্ম্মাদের অত্যাচার নিবারণ করিব বটে, কিন্তু তাহার পরে খোদাতালার ইচ্ছা আর শাহন্‌ শাহ্‌ বাদশাহের মর্জ্জি।”

 এই সময়ে দুর্গের তোরণে দামামা বাজিয়া উঠিল, ফৌজ্‌দারী আহদীসেনা সজ্জিত হইয়া বাহির হইল। নবাব নাজিম কহিলেন, “দেওয়ানজী, আপনি এখন বিশ্রাম করুন।” যদি হুগলী হইতে ফিরিয়া আসি তাহা হইলে জহাঙ্গীর নগর যাইব।”

 নবাব নাজিম্‌, আলীনকী খাঁ ও গোষ্ঠবিহারী দুর্গ হইতে