পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मद्रgeद्र ७६ दCध য়ানের মত জোয়ান-নীল ইজের আর একটা বুক কাটা কোর্তা গায়ে মুখখানা দেখতে খুব কুগ্ৰী নয়, কিন্তু কঠিন ও নিষ্ঠুর । ওর হাতের অস্ত্ৰখানা বিমল লক্ষ করে দেখলে ঠিক ছোরা নয়, মালয় উপদ্বীপে যাকে “ক্রিস বলে, তাই । যেমনি চকচকে তেমনি সেখানা ক্ষুরধার বলে মনে 62ांव । সে ক্রিস্খানা বিমলের সামনে উঁচু করে তুলে ধরে দেখিয়ে বল্পেআমি তোমাকে একটু বিরক্ত করতে এসেছি, কিছু মনে করো না । বিমলের মুখ বাধা, সে কি কথা বলবে ? লোকটা পকেট থেকে একটা চামড়ায় থলি বার করে সেটার মুখ খুলে বিমলের চােখের সামনে মেলে ধরলে। শুকনো আমচুরের মত কতকগুলো কি জিনিষ। তার মধ্যে রয়েছে ! বিমল অবাক হয়ে ভাবছে এ জিনিষগুলো কি, বা তাকে এগুলি দেখানোর সার্থকতাই বা কি-এমন সময় লোকটা একটা শুকনো আমচুর বার করে ওর নাকের সামনে ধরে বল্লে-চিনতে পারলে না কি জিনিষ ? বিমল এতক্ষণে জিনিষটা চিনতে পারলে এবং চিনে ভয়ে ও বিস্ময়ে শিউরে উঠলো। সেটা একটা কাটা শুকনো কান, মানুষের কান ! লোকটা হা হা করে নিষ্ঠােৱ বিন্দ্রপের হাসি হেসে বল্লে-বুঝেছ এবুর ? হাঁ, ওটা আমার একটা বাতিক-মানুষের কান সংগ্ৰহ করা। তোমাকেও তোমার কান দুটীর জন্য একটুখানি কষ্ট দেবো। আশা করি মনে কিছু করবে না। এসো, একটু এগিয়ে এসো দেখি । বিমল নিরুপায়, মুখ দিয়ে একটি কথা বার করবার পর্য্যন্ত ক্ষমতা নেই তার। এক মুহুর্তে তার মনে হোল হয়তো সুরেশ্বরের সমানই অবস্থা ঘটেছে, এতক্ষণে তারও অশেষ দুৰ্দশা হচ্ছে এই পীতবৃর্ণ বৰ্ব্বরদের হাতে। V