পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८° एछश ८ দিকে চোখ তুলে দেখবার চেষ্টা করলে কোন দিক থেকে আওয়াজটা আসছে। ছ’খানা এরোপ্লেন সারবন্দী হয়ে উড়ে পূব থেকে পশ্চিমের দিকে আসছে। ট্ৰেনখানার বেগ হঠাৎ বড় বেড়ে গেল । সকলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে, পরস্পরের মুখের দিকে চাইছে। কিন্তু এরোপ্লেনের সারি ট্রেনের ঠিক ওপর দিয়েই উড়ে চলে গেল শান্তভাবেই । প্রোফেসর লি দিব্যি নির্বিবকার ভাবেই বসেছিলেন । তিনি বল্লেনআমাদের গভর্ণমেণ্টের এরোপ্লেন । একটা ষ্টেশনে প্ল্যাটফৰ্ম্ম থেকে নারীকণ্ঠের কান্না শুনে বিমলী ও সুবেশ্বর মুখ বাড়িয়ে দেখলে, কতকগুলি সৈন্য একটী দরিদ্র স্ত্রীলোকের চারিধার ঘিরে হাসছে-স্ত্রীলোকটর সামনে একটা শূন্য ফলের ঝুড়িএদিকে সৈন্যদের প্রত্যেকের হাতে এক একটা খরমুজ । বিমল বল্লে-প্রোফেসর লি, আমরা তো নতুন এদেশে এসেছি, কিছু বুঝিনে এ দেশের ভাষা । বোধহয় খরমুজওয়ালীর সব ফল এরা কেড়ে নিয়ে দাম দিচ্ছে না। আপনি একবার দেখুন না ? বৃদ্ধ তীর এগারোটী ছাত্র নিয়ে প্ল্যাটফৰ্ম্মে গিয়ে বাধা দিলেন সৈন্যদের } চীনা ভাষায় তুবড়ি ছুটলো উভয় পক্ষেই । বুদ্ধের ছাত্ৰগণও তৈরী হয়ে দাড়িয়ে আছে, দরকার হোলে মারামারি করবে। মারামারি একটা ঘটতে হয়তো, কিন্তু সেই সময় জনৈক চীনা সামরিক অফিসার গোলমাল দেখে সেখানে উপস্থিত হোতেই সৈন্যরা খরমুজ রেখে যে যার কামরায় উঠে বসলো। খরমুজওয়ালী গোটাকতক ফল লি ও তার ছাত্রদের খেতে দিলে-বৃদ্ধ তার দাম দিয়ে দিলেন, খরমুজওয়ালীর প্রতিবাদ শুনলেন না । 8