পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፵ቑርጫ3 Jቕ] ቐ፲ረቑቛ देिमा दtझ-गङ्द्र ८ दएछाgठ ! --যাবেন না । আমরা গুপ্ত খবর পেয়েছি, জাপানী যুদ্ধ জাহাজ বন্দরের বাইরের সমুদ্র থেকে লম্বা পাল্লার কামানে গোলাবর্ষণ সুরু করবে: আজি সন্ধ্যার সময়ে-সেই সঙ্গে জাপানী উড়ো জাহাজও যোগ দেবে। বোমা ফেলতে ! -ধন্যবাদ। আমরা একটু ঘুরে চলে আসবো । একথা বলে এ্যালিস-কাজেই বিমল বা সুরেশ্বর কিছু বলতে পারলে না। সহরের মধ্যে এসে দেখলে, পুলিশ সকলের হাতে চীনা ভাষায় মুদ্রিত এক টুকরো কাগজ বিলি করছে। চীনা ছাত্রদের একটা লম্বা দল পতাকা উড়িয়ে মুখে কি বলতে বলতে শোভাযাত্ৰা করে চলেছে। সাংহাই অতি প্ৰকাণ্ড সহর। এত বড় সহর বিমল দেখেনিসুরেশ্বরও না । কলকাতা এর কাছে লাগেই না । চীনাপঞ্জিীর নাম চাপেই। সে জায়গাটায় রাস্তাঘাট কিন্তু অপরিসর নয়—তবে বড় ঘিঞ্জি বসতি। প্ৰত্যেক মোড়ে খাবারের দোকান, ছোট বড় ইদুর ভাজা ঝুলছে । বঁাকে করে ফিরিওয়ালা ভাত তরকারী বিক্রী করছে । বিমলের ভারী ভালো লাগলো। এই চীনাপাড়ার জীবনস্রোত । এক জায়গায় একটা বুড়ী বসে ভিক্ষে করচে-টাকা-পয়সার বদলে সে পেয়েছে ভাত তরকারী, ওর মুখে এমন একটি উদার ভালবাসার ভাব, চোখে সন্তোষ ও তৃপ্তির দৃষ্টি। বোধ হয়। আশাতীত ভাত তরকারী পেয়েছে বলে এত খুসি হয়ে উঠেছে মনে মনে । প্ৰাচ্য-ভূখণ্ডের দারিদ্র্য ও সহজ সরল সন্তোষের ছবি যেন এই বৃদ্ধ ভিখারিণীর মধ্যে মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করেছে। হঠাৎ আকাশে কি একটা অদ্ভুত ধরণের শব্দ শুনে ওরা মুখ তুলে (A)