পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अgeद्ध ठक्षां बांgज এখন উপায় কি ? যদি ওদের সন্ধান না-ই মেলে! কনশেসনে, সে আর সুরেশ্বর মুখ দেখাবে কেমন করে ? স্তব্ধ নির্জন বাড়ীটা । সাড়া শব্দ নেই কোনো দিকে । মা জং খেলার ঘরে একটা চীনে লণ্ঠন ঝুলছে। আধ্য আলো অন্ধকারে বিকট মুক্তি চীনা দেবতার ছবিটা যেন এক হিংস্র দৈত্যের প্রতিকৃতির মত দেখাচ্ছে--সেই একমাত্ৰ আলো সারা বাড়ীটাতে । বাকীটা অন্ধকার । আশ্চৰ্য্য, কোথায় কলকাতার শাখারিটোলা লেন, আর কোথায় সাংহাইএর এক নীচ শ্রেণীর জুয়াড়ীর আডা ! অবস্থার ফেরে কোথা থেকে মানুষকে কোথায় নিয়ে এসে ফেলে! এ্যালিস চমৎকার মেয়ে, মিনিও চমৎকার মেয়ে ; ওদের বিন্দুমাত্র অনিষ্ট হোলে সে নিজেকে ক্ষমা করবে না । ওদের জন্যে বিমলাই দায়ী । হাসপাতাল থেকে বার হয়েই কনশেসনে ফেরা উচিত ছিল। প্ৰায় কুডি মিনিট হয়ে গিয়েছে। সুরেশ্বরের দেখা নেই। সে কি কনশেসনে ফিরে গিয়েছে নিজেই খবর দিতে ? বিমল আকাশ পাতাল ভাবছে, এমন সময় এক ব্যাপার ঘটলো । রাত্রির আলো হঠাৎ যেন নিবে গিয়ে চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল। এ আবার কি কাণ্ড । মিনিট পাঁচ ছয় কি দশ পরে বাইরে থেকে কে একজন উত্তেজিত গলায় চীনা ভাষায় কি বললে-কোনো সাড়া না পেয়ে আবার বল্পে। ঠিক যেন কাউকে কে ডাকছে । বিমল অবাক হয়ে ভাবছে গুণ্ডাটা ফিরে এল না কি ! হঠাৎ দুজন চীনা ইউনিফৰ্ম্ম পরা পুলিশম্যান বাড়ীর মধ্যে খনিকটা ঢুকে রাগের ও গালাগালির সুরে কি কথা চেচিয়ে বলে উঠলো। rR