পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুজাতির যোগবল ও হরিদাস যোগী । ৩৭ অবস্থান ; একাসনে বসিয়া নিমেষ মধ্যে ত্রিভুবনের যাবতীয় কাৰ্য্যকলাপ পরিদর্শন, জলরাশির উপর দিয়া যথেচ্ছ গমন গমন ইত্যাদি তাহার অদ্ভুত ও অলৌকিক ব্যাপারের কথা শুনিলে কাহার মনে না বিস্ময়-রসের আবির্ভাব হয় ? অধিক দিন হয় নাই ; আমরা ১৮৩৪৷৩৫ খৃষ্টাব্দের কথা বলিতেছি । তখন লর্ডউইলিয়ম বেটিঙ্ক এদেশের গভর্ণর জেনারল । সুতরাং ৫৫ বুৎসর মাত্র অতীত হইল, হরিদাস নামক জনৈক যোগ-সিদ্ধ মহারাষ্ট্রীয় ব্রাহ্মণ এক দিন লাহোর, জম্বু ও যশল্মীর প্রভৃতি স্থানে শত শত মুসলমান ও অনুনি ছয় শত ইউরোপীয় দিগকে ইহার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখাইয়া স্তম্ভিত করিয়া ছিলেন । আজি মহারাজ রণজিৎ সিংহ জীবিত নাই ; জীবিত থাকিলে তিনি নিজমুখে হরিদাসের পরিচয় দিতেন । সে পলিটিক্যাল এজেন্ট ওয়েড সাহেবও ইহলোক পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছেন ; থাকিলে তিনি প্রকৃত ঘটনার সাক্ষ্য দিতে পারিতেন । যিনি সমাধিগত হরিদাসের নিম্পন শরীর, নিশ্চল নাড়ী ও নিষ্কম্প হৃৎপিণ্ড দেখিয়া র্তাহাকে মৃত বলিয়। স্থির করিয়াছিলেন, সেই রেসিডেন্ট সার্জন ম্যাকগ্রেগর সাহেবও এখন জীবিত নাই। ডাক্তার মরে, জেনারল ভেঞ্চুরা, ম্যাকৃনাটন এবং বৈলে সাহেবেরও মৃত্যু হইয়াছে । জীবিত থাকিলে তাহারাও হরিদাসের অদ্ভূত ঘটনার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিতে পারিতেন । তাহারা প্রাণত্যাগ করিয়াছেন বটে, কিন্তু তাহাদের প্রণীত গ্রন্থ সকল অদ্যাপি বর্তমান রহিয়াছে । এই সকল গ্রন্থই হরিদাসের অস্তু ত ক্ষমতার অন্ততর প্রমাণ । বীর-কেশরী রণজিৎ সিংহের প্রধান মন্ত্রী রাজা ধ্যানসিংহ যখন জয়ুতে থাকিতেন, তখন তিনি প্রত্যহই একটা সাধুর