পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

名之 প্রবন্ধ পাঠ | হরিদাস কে ও কি প্রকারে তিনি যোগাভ্যাস শিক্ষা করিয়াছিলেন, তাহ জানিবার জন্ত সকলেরই কৌতূহল জম্মিয়াছিল । দিল্লীর এক জন ব্রাহ্মণ পশ্চিম প্রদেশের প্রধান প্রধান রাজধানীতে ভিক্ষা করিয়৷ বেড়াইতেন । পূৰ্ব্বে তিনি হরিদাসের নিকট কয়েক বৎসর যোগাভ্যাস শিক্ষা করিয়া ছিলেন । হরিদাস যখন রাজপুতনায় গিয়াছিলেন, তখন যোগীও সেখানে উপস্থিত । পরস্পর সাক্ষাৎ হইলে উভয়ে অনেক কথাবার্ত কহিতে লাগিলেন । তখন নগরবাসীরা হরিদাসের পরিচয় জানিবার জন্ত ব্রাহ্মণকে ধরিয়া বসিল । ব্রাহ্মণ বলিলেন, “আমি এই ব্রাহ্মণকে চিনি । কুরুক্ষেত্রে ইহার আশ্রম । আমি ৫ বৎসর এই যোগীর সঙ্গে ফিরিয়াছি। তিনি নয়ন মুদ্রিত করিয়া শূন্তে উঠিয়া অনেকক্ষণ বসিয়া থাকিতে পারেন। কিরূপে শূন্তে অবস্থিতি করিতে হয়, তাহাও আমি জানি । প্রত্যহ তৰ্দ্ধণের তুর্থ পান করিয়া জীবন ধারণ কfরবে, এবং প্রত্যহ এক ধার করিয়া শরীর ওজন করিয়া দেখিবে । শূন্যে উঠিবা পূৰ্ব্বে বিরেচক ঔষধ দ্বার অন্ত্র ধৌত করিয়া অনশনে থাকিতে হয় । প্রথমে বাম নাসিকায় ধীরে ধীরে শ্বাস &,হণ করিবে । এক এক বার কিঞ্চিৎ বায়ু গ্রহণ করিবে, এবং সেই বায়ু মার গিলিবে না । এইরূপে দশ হাজার বার মন্ত্র জপ করিতে যত সময় লাগে, তত সময় পৰ্য্যন্ত বামু ভক্ষণ করিবে ; কিন্তু একবারও নিশ্বাস ফেলিবে না। প্রত্যহ বায়ু ভক্ষণ করিতে পারিলেও মন যদি চঞ্চল থাকে, তাহা হইলে শরীর উদ্ধে উঠিবে না। চক্ষু মুদ্রিত করিয়া এইরূপ ভাবিতে